নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১১ জানুয়ারি: গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধ দম্পতিকে এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ মৃত্যু স্বামীর, আশঙ্কাজনক স্ত্রী। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কুশলপুর গ্রামের এই ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। তৃণমূল নেতা খুনে মন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়াতেই ওই এলাকাতে প্রশ্নের মুখে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, থমথমে এলাকা।
একদিকে যখন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানো হল, তখনই ফের প্রশ্নের মুখে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা। খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।থমথমে রয়েছে এলাকা। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কুশলপুর গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৃতের নাম জসীমউদ্দীন, বয়স ৭০ বছর।গুরুতর জখম স্ত্রী সাহানা মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বৃদ্ধ এই দম্পতি বাড়ির বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন। শুক্রবার গভীর রাতে তাদের বাড়িতে দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে, ছুরি দিয়ে দুইজনকেই একাধিকবার কোপানো হয়। দম্পতির আর্ত চিৎকারে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। ততক্ষণে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। প্রতিবেশীরা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধ দম্পতিকে উদ্ধার করে। নিয়ে যাওয়া হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে মৃত্যু হয় জসীমউদ্দীনের। স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রেফার করা হয়েছে। পুরনো কোনও শত্রুতা, নাকি আর্থিক লেনদেন?খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
উল্লেখ্য, মালদায় তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকারের হত্যাকাণ্ডের পর হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। যেইদিন নিরাপত্তা বৃদ্ধি হল, ঠিক সেই রাতেই প্রশ্নের মুখে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা। শনিবার সকালেও থমথমে এলাকা।
No comments:
Post a Comment