নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ০৫ জানুয়ারি: ধর্ষক সৎ বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে এসেছিল নাবালিকা। আর কোর্ট চত্বরেই নাবালিকাকে হুমকি সৎ বাবার বন্ধুদের। অভিযুক্তদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ বিচারকের। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার। ধর্ষিতা নাবালিকাকে কোর্ট চত্বরে খুনের হুমকির অভিযোগ, অভিযুক্ত সৎ বাবার বন্ধুদের বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ বিচারকের। পাশাপাশি নাবালিকাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ।
উল্লেখ্য, গত বছর (২০২৪) জুন মাসে বনগাঁ থানা এলাকার বাসিন্দা ১৫ বছর বয়সী নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার সৎ বাবার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মায়ের দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী প্রলোভন দেখিয়ে গোপালনগর থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নবম শ্রেণীর নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এই মর্মে গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় অভিযুক্ত জাকির মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে অভিযুক্ত জাকির মণ্ডল জেল হেফাজতে আছে। শনিবার এই ঘটনার প্রথম সাক্ষী দানের দিন ছিল। সেই মতো এদিন আদালতে উপস্থিত হয় নাবালিকা ও তার মা।
বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সমীর দাসের দাবী, বিচারকের সামনে এসে নাবালিকা কান্নায় ভেঙে পড়েন।সে সময় বিচারক ঘটনা জানতে চাইলে নাবালিকা ছাত্রী দাবী করেন, কোর্ট চত্ত্বরের ভিতরেই অভিযুক্ত জাকির মণ্ডলের দুইজন বন্ধু তাকে ও তাঁর মাকে খুনের হুমকি দেয়। বলা হয় আদালতে মিথ্যে সাক্ষী না দিলে নাবালিকা এবং তাঁর মা কোর্ট চত্বর থেকে বেঁচে ফিরতে পারবে না।এরপর বিচারক আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে দেখেন বলে জানা যায়। তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানো হয় গোপালনগর থানার ওসি অসীম পালকে। সমীর পালের দাবী পুলিশকে নির্যাতিতা নাবালিকাকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর থেকে যথেষ্ট আতঙ্কিত বনগাঁ থানার বাসিন্দা নির্যাতিতা নাবালিকা ও তার পরিবার।
No comments:
Post a Comment