প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৮ জানুয়ারি: বিরোধী দলগুলোর ইন্ডিয়া জোট এখন শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনটাই দাবী করলেন বিহারের প্রাক্তন ডেপুটি সিএম তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তেজস্বীর মতে, বিরোধী দল শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচনের জন্য সংগঠিত হয়েছিল। লোকসভার পর থেকে এটি শেষ হয়ে গেছে।
বুধবার বক্সারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, তেজস্বী যাদব বলেন, দিল্লীতে আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোট না হওয়া অপ্রত্যাশিত। তিনি বলেন, 'ইন্ডিয়া জোট শুধুমাত্র ২০২৪ সালে বিজেপির বিজয়ী রথ থামানোর জন্য গঠিত হয়েছিল। এখন এর কোনও গুরুত্ব নেই।' তবে, তেজস্বী এও নিশ্চিতভাবে বলেন যে, বিহারে কংগ্রেস ও আরজেডি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে লড়বে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে, হরিয়ানা এবং দিল্লীতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কংগ্রেস হরিয়ানায় বৃহত্তম দল ছিল, তবে এটি আপ এবং সপাকে একটি আসনও দেয়নি। কংগ্রেস এখানে স্পষ্ট ভাবে জোট না করার কথা বলে।
দিল্লীতেও ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। এখানে আপ-এর সাথে কংগ্রেস বোঝাপড়া করতে চেয়েছিল, কিন্তু কংগ্রেসকে আসন দিতে অস্বীকার করে আপ। এর পরে দুই দলই দিল্লীর নির্বাচনী ময়দানে একা লড়াইয়ের পথে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে, ২৬টি বিরোধী দল ইন্ডিয়া জোটের কাঠামো তৈরি করেছিল। জোটের অধীনে, তামিলনাড়ু, বিহার, ইউপি, দিল্লী, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলিতে বিরোধী দলগুলি একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়।
ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স পুরো নির্বাচনে খুব বেশি সাফল্য পায়নি, কিন্তু জোট বিজেপিকে এককভাবে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেয়। লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট ২৯৬টি আসন জিতেছে। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট জিতেছে ২৩৬টি আসন। লোকসভায় মোট ৫৪৩টি আসন রয়েছে, সরকার গঠনের জন্য ২৭২ জন সাংসদ প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment