নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ০৪ জানুয়ারি: পাচারের আগেই পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার প্রায় ৪০০টি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ, গ্রেফতার ২ ব্যক্তি। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটার।
প্রায় ৪০০টি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার কুলপুকুর এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় একটা গাড়ি আটকায় পুলিশ। গাড়ির ভিতরে তল্লাশি করতেই দেখা যায় ভিতরে প্রায় ১৯টি বাক্সের মধ্যে বেশ কিছু কচ্ছপ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির ভেতর থেকে ৩৯৬ টি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গাড়িতে থাকা দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলেন, নিমতা থানার বাসিন্দা প্রদীপ হালদার ও বরানগর থানার বাসিন্দা কুণাল সাহা।
সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলি বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে বনগাঁর সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। ঘটনায় ব্যবহৃত চারচাকা গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। শনিবার ধৃতদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। অপরদিকে, উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির কচ্ছপগুলোকে বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ করা কচ্ছপের দেহাংশ উদ্ধার করে বনগাঁ থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত বুধবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ থানার খয়রামারী দাসপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় বনগাঁ থানার পুলিশ। এলাকার বাসিন্দা সুশীল দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে উদ্ধার হয় চারটি বস্তার মধ্যে প্রায় ৪০ কেজি বিরল প্রজাতির কচ্ছপের দেহাংশ। ঘটনায় বাড়ির মালিক সুশীল দাস ও তার ছেলে রাকেশ দাসকে আটক করে বনগাঁ থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কচ্ছপের দেহাংশগুলি বিভিন্ন ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সে কারণে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যেই এই দেহাংশগুলি নিজের বাড়িতে মজুদ করেছিল অভিযুক্তরা। পুলিশের দাবী, অভিযুক্ত সুশীল দাস দীর্ঘদিন ধরেই মাছ ব্যবসার আড়ালে বেআইনি কচ্ছপ বিক্রি ও পাচারের কারবার চালাতেন।
No comments:
Post a Comment