গর্ভধারণে সমস্যা, মানসিক চাপ! ৩০-এর পর বিয়েতে আরও যেসব ক্ষতি - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, January 4, 2025

গর্ভধারণে সমস্যা, মানসিক চাপ! ৩০-এর পর বিয়েতে আরও যেসব ক্ষতি


প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৪ জানুয়ারি: বর্তমান যুগে অনেকেই বিয়েকে খুব একটা প্রাধান্য দেন না। তরুণ-তরুণীরা বিয়ের আগে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে চায় এবং স্বাবলম্বী হতে চায়। পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ারে সাফল্য অর্জনের জন্য তাদের সময়ের প্রয়োজন। এই কারণে, তাদের ব্যক্তিগত জীবনে এগিয়ে যেতে অর্থাৎ বিয়ে করতে সময় লাগতে পারে। ভারতের মতো একটি দেশে, যেখানে পরিবারগুলি ২২-২৪ বছর বয়সে তাদের ছেলে বা মেয়ের বিয়ে দিত, এখন ৩০ বছর বয়সে না পৌঁছানো পর্যন্ত পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই বিবাহের সম্পর্কে প্রবেশ করতে চায় না। 

আধুনিক যুগে, মহিলা এবং পুরুষ উভয়ই দেরিতে বিয়ে করতে পছন্দ করেন আর সাধারণত ৩০ বছর বয়সের পরেই বিয়ে করতে চায়। যদিও, ৩০ বছর বয়সের পরে বিয়ে করার কিছু সম্ভাব্য অসুবিধা হতে পারে, যা ব্যক্তির জীবনধারা, সামাজিক অবস্থান এবং ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর নির্ভর করে। আসুন জেনে নিই ৩০ বছর বয়সের পর বিয়ে করলে কী কী ক্ষতির সম্ভাবনা হতে পারে।


গর্ভধারণে সমস্যা 

মহিলাদের ক্ষেত্রে, ৩০ বছরের পর ধীরে ধীরে প্রজনন কমতে শুরু করে। ৩৫-এর পরে, গর্ভধারণে অসুবিধা এবং জটিলতার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। বয়সের সাথে সাথে ডিমের গুণমান কমে যায়, যা গর্ভাবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পুরুষদের জন্য, শুক্রাণুর গুণমানও বয়সের সাথে প্রভাবিত হতে পারে, যা গর্ভধারণকে প্রভাবিত করতে পারে। ক্রমবর্ধমান বয়সের সাথে স্বাস্থ্য সমস্যাও বৃদ্ধি পায় যা, সুস্থ বিবাহিত জীবন যাপন করা কঠিন করে তুলতে পারে।


সামাজিক চাপ এবং প্রত্যাশা 

৩০ বছর বয়সের পরে, বিয়ের বিষয়ে পরিবার এবং সমাজ থেকে আরও চাপ আসতে পারে, যা মানসিক চাপ বাড়াতে পারে। কখনও কখনও পরিবার এবং আত্মীয়দের কাছ থেকে প্রত্যাশার কারণে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধুমাত্র বিয়ের পরেই, দম্পতিরা পরিবার বৃদ্ধি এবং সন্তানের প্রত্যাশার চাপের সম্মুখীন হয়। পরিবার এবং সঙ্গী উভয়ের কাছ থেকে প্রত্যাশার বোঝাও মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করে।


শিশুদের বড় করা 

বিয়ের পর সন্তানের জন্ম দেরিতে হলে, সন্তান বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মায়ের বয়স বেড়ে যায়। এটি শিশুদের লালন-পালন এবং ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। পিতামাতা এবং সন্তানদের মধ্যে বড় প্রজন্মের ব্যবধান পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সংযোগে অসুবিধার কারণ হতে পারে।


অর্থনৈতিক চাপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা 

৩০-এর পরে, ক্যারিয়ার এবং আর্থিক দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়, যার কারণে বিয়ের পরে নতুন দায়িত্ব নেওয়া চ্যালেঞ্জ হতে পারে। বিয়ের পরের জীবনে আর্থিক পরিকল্পনার পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। বেশি বয়সে বিয়ের পর একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে সংসার দেখাশোনার দায়িত্ব বেশি থাকে দম্পতিদের। 


সম্পর্কের সাথে মানিয়ে নিতে অসুবিধা 

৩০ বছর বয়সের মধ্যে, একজন ব্যক্তির চিন্তাভাবনা, অভ্যাস এবং জীবনধারা বেশ স্থিতিশীল হয়ে যায়, যার কারণে একজন নতুন ব্যক্তির সাথে মানিয়ে নেওয়া কঠিন হতে পারে। উভয় পক্ষের স্বাধীনতার অভ্যাসের কারণে বিয়ের পর আপোস করা কঠিন হতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তিদের একে অপরের জীবনধারা এবং পছন্দগুলির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং সামঞ্জস্য করা কঠিন হতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad