নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৭ জানুয়ারি, কলকাতা : কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ছাত্রী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় শনিবার রায় দেবে শিয়ালদহ আদালত। তার একদিন আগে, হুগলি আদালত নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করল। আদালত দোষী অশোক সিংকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। হুগলি জেলার চুঁচুড়া পকসো আদালত ৫৪ দিন পর সাজা ঘোষণা করে।
শুক্রবার, যখন অশোক সিংকে আদালতে তোলা হচ্ছিল, তখন নাবালিকার বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন এবং গ্রামবাসীরা বাইরে জড়ো হন। তারা অশোকের মৃত্যুদণ্ডের দাবীতে স্লোগান দেয়। আদালতের বাইরে, আইনজীবীরা কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের কাছে অনুনয় বিনয় করতে থাকেন।
২৪ নভেম্বর যখন ছাত্রী ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা রাজ্যে বিক্ষোভ চলছিল। হুগলি জেলায় আরেকটি নৃশংস ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত অশোক সিং পাঁচ বছরের এক মেয়েকে চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। মেয়েটি প্রতিবেশী 'কাকা' অশোককে খুব ভালো করেই চিনত। তাই সে তার ডাকে সাড়া দিল। অশোক সিং কেবল শিশুটিকে যৌন নির্যাতনই করেননি, বরং প্রমাণ লোপাট করার জন্য তাকে খুনও করে।
মেয়েটির বাবা তার মেয়েকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে শুরু করে। প্রতিবেশী অশোকের বাড়িতে এটি পেয়ে সে অবাক হয়ে গেল। শিশুটির রক্তমাখা দেহটি মশারি দিয়ে ঢাকা বিছানার উপর পড়ে ছিল। এই পুরো ঘটনাটি বাংলার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তোলে। পুলিশ অশোককে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, কলকাতা ধর্ষণ-খুন মামলার রায় শনিবার ঘোষণা করা হবে। নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের মামলায় একদিন আগে গুরাপ আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডের রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আরজি কর মামলায়, ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের দাবী করছে। বাংলার জুনিয়র ডাক্তাররাও মৃত্যুদণ্ডের দাবীতে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ করে আসছেন।
No comments:
Post a Comment