প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৪ জানুয়ারি: আপনিও কি রাতে ঘুমাতে পারেন না? আর এর জন্য ঘুমের ওষুধ খাচ্ছেন? উত্তর যদি হয় হ্যাঁ, তবে সাবধান। অন্যথায় আপনার কিডনি এবং লিভার উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের এক রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন, যার কারণে বেশিরভাগ মানুষকে ঘুমের ওষুধ খেতে হয়। এই ওষুধগুলোর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ। আসুন জেনে নিই ঘুমের ওষুধের বিপদ কী কী...
ঘুমের ওষুধ কতটা নিরাপদ?
ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের জন্য ঘুমের বড়ি উপকারী। অনিদ্রার গুরুতর সমস্যা হলে চিকিৎসকরা এসব ওষুধ দিয়ে থাকেন। ঘুমের ওষুধ মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থকে প্রভাবিত করে। সেই রাসায়নিকগুলি নিয়ন্ত্রিত এবং শান্ত হয়, যার পরে ঘুমের সমস্যা হয় না। আরও গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রে, ডাক্তার যদি এটি নির্দিষ্ট পরিমাণে সুপারিশ করেন তবে এটি নিরাপদ হতে পারে, কিন্তু যদি এটি সাধারণ সমস্যাগুলিতেও নেওয়া হয় তবে এটি স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে নিশ্চিত। তাই এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী কী?
১. যারা ঘুমের ওষুধ খান তাদের স্বাভাবিক ঘুম নাও হতে পারে। অনেক সময় হঠাৎ রাত জেগে চমকে উঠতে পারেন। এটি খেলে অনিদ্রার মতো সমস্যাও হতে পারে।
২. ঘুমের ওষুধ তৈরি করা হয় ঘুম আনার জন্য, কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই খেলে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. দীর্ঘদিন ঘুমের বড়ি ব্যবহার করলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। এতে বিরক্তি ও রাগের মতো সমস্যা হতে পারে। স্মৃতি সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে।
৪. অত্যধিক ঘুমের বড়ি খেলে ঘুম হারিয়ে যেতে পারে এবং এগুলো আপনাকে সারা রাত জাগিয়ে রাখতে পারে।
৫. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই যদি ঘুমের ওষুধ খান তাহলে এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। এটি লিভার এবং কিডনির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই কারণে, দুটি অঙ্গ ব্যর্থ বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ?
১. আপনি যখন প্রতিদিন ঘুমের বড়ি খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলেন এবং অনুভব করেন যে, এটি ছাড়া আপনি ঘুমাতে পারবেন না।
২. ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর যদি বমি ও মাথা ঘোরা হয়।
৩. ঘুমের ওষুধ খেয়েও ঘুমাতে না পারলে এবং সারা রাত জেগে থাকতে হলে।
৪. আপনি যদি হার্ট, লিভার বা কিডনির মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খাবেন না।
No comments:
Post a Comment