প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৫ জানুয়ারি: সাম্প্রতিক এক গবেষণায় কিশোরী মেয়েদের মধ্যে বিষণ্নতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে উল্লেখ করা হয়েছে।মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গ যখন কংগ্রেসনাল শুনানিতে বলেছিলেন যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এবং শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে কোনও সরাসরি যোগসূত্র নেই,তখন বিবৃতিটি অনেক সমাজ বিজ্ঞানীদের হতবাক করেছিল।জুকারবার্গ বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শিশুদের ক্ষতি করে এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
সাম্প্রতিক অধ্যয়ন এবং গবেষণায় দেখা গেছে যে সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব নিয়ে গভীর আলোচনা চলছে।
সামাজিক মিডিয়া এবং মানসিক স্বাস্থ্য: গবেষণা প্রকাশ করে
গবেষণায় দেখা গেছে,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা এবং একাডেমিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।এই সমীক্ষা অনুসারে,সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি সময় ব্যয় করা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপের সম্মুখীন হয়।
মেয়েদের উপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব বেশি -
ল্যানসেট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে সামাজিক মিডিয়া এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে শক্তিশালী।সমীক্ষা অনুসারে,যখন মেয়েরা অতিরিক্ত মাত্রায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এবং এটি তাদের সাইবার বুলিং, অপর্যাপ্ত ঘুমের মতো সমস্যা তৈরি করে,যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।একই সময়ে,ছেলেদের উপর এমন প্রভাব দেখা যায়নি।
বিষণ্নতা এড়ানোর উপায় -
বিষণ্ণতা ও দুশ্চিন্তা এড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিৎ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার চেয়ে অন্যদের সুখী বা বেশি সফল দেখেন,তাহলে এটি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারা গ্রহণ করাও জরুরি।
No comments:
Post a Comment