নিজস্ব প্রতিবেদন, ১০ জানুয়ারি, কলকাতা : শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরাবুল ইসলাম এবং শান্তনু সেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। দলের অন্যতম নেতা তথা তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার একটি ভিডিও বার্তায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরজি কারের ঘটনার পর শান্তনু সেন ঘটনাটি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। তিনি সরাসরি হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিশানা করেছিলেন। সেই সময়, একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য খাত নিয়েও বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। এর পর তাকে তৃণমূলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর এখন শান্তনুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। তাহলে প্রশ্ন উঠছে যে আরজি করের উপর মন্তব্যের কারণেই কি এই সিদ্ধান্ত?
এদিকে, আরাবুল ইসলামের প্রতি তৃণমূলের অসন্তোষ দীর্ঘদিন ধরেই তৈরি হচ্ছে। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি একজন আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগে ভাঙড় থেকে একজন শক্তিশালী তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল উত্তর কাশীপুর থানা। সাত মাস পর তিনি জেল থেকে মুক্তি পান। তবে, তারপর থেকে তৃণমূলের আরেক নেতা শওকত মোল্লার সাথে তার বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। শওকতের বিরুদ্ধে নতুন বছরের প্রথম দিনে আরাবুলের উপর হামলার অভিযোগও আনা হয়েছিল। আরাবুল খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন।
এই পরিস্থিতিতে, ভাঙড়ের 'নতুন নেতা'কে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে আরাবুল এবং শান্তনুকে কেন বরখাস্ত করা হয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে জয়প্রকাশ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment