ট্রুডোর পদত্যাগের পর বিস্ফোরক ট্রাম্প! কী বললেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট? - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, January 7, 2025

ট্রুডোর পদত্যাগের পর বিস্ফোরক ট্রাম্প! কী বললেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট?


প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৭ জানুয়ারি: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো‌ সোমবার (৬ জানুয়ারি) পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে কানাডাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য করার তাঁর আগের বিবৃতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন যে, অনেক কানাডিয়ান এই ধারণাটিকে স্বাগত জানাবে। তিনি দাবী করেন, ট্রুডো পদত্যাগ করেছেন কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন আর কানাডার বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি এবং সাবসিডি সহ্য করতে পারবে না, যার ওপর কানাডা নির্ভর ছিল। 


প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকার পর সোমবার জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে ভোটারদের সমর্থনের অভাব উল্লেখ করেছেন। তবে, ট্রুডোর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কিছু সময়ের জন্য অনিশ্চিত ছিল। কিন্তু নভেম্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস পুনর্দখল করার পর তাঁর পতন দ্রুত হয়। কানাডিয়ান পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ট্রাম্পের হুমকি কানাডার অর্থনীতির ওপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি করেছিল, সেখানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছিল।


ট্রুথ সোশ্যাল-এ তাঁর প্রতিক্রিয়ায়, ট্রাম্প মজার ছলে বলেন, "কানাডার অনেক মানুষ ৫১তম রাজ্য হতে পছন্দ করবেন। কানাডা যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হয়ে যায়, তাহলে কোনও শুল্ক থাকবে না, কর অনেক কম হবে, এবং তারা রুশ ও চীনা জাহাজের বিপদ থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবেন, যা প্রতিনিয়ত তাঁদের ঘিরে রাখে।"


ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যোগদানের জন্য কানাডাকে একটি ভালো বিকল্প হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যা শুধুমাত্র শুল্ক সমস্যার সমাধান করবে না বরং অন্যান্য অর্থনৈতিক সুবিধাও বয়ে আনবে। তিনি আরও বলেন, 'একসঙ্গে একটি মহান জাতি গঠন করা সম্ভব।'


 ট্রাম্প-ট্রুডো বৈঠক ও উত্তেজনা

গত বছর অর্থাৎ ২০২৪, নভেম্বরে জাস্টিন ট্রুডো মার্কিন-কানাডা সম্পর্কের উন্নতির জন্য মার-এ-লাগো ভ্রমণ করেছিলেন এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছিলেন। তবে এই বৈঠক সত্ত্বেও ট্রাম্প কানাডার ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। এমনকি তিনি মজা করে কানাডাকে ৫১তম রাজ্য এবং ট্রুডোকে এর গভর্নর করার কথা বলেছিলেন।


ট্রুডোর রাজনৈতিক ভবিষ্যত এবং কানাডার দিকনির্দেশনা-

পদত্যাগে ট্রুডোর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির মধ্যে, কানাডা এখন তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক কী হওয়া উচিৎ ,তা নিয়ে ভাবতে বাধ্য। কানাডা কী সত্যিই আমেরিকার ৫১ তম রাজ্য হয়ে উঠতে পারে নাকি এটি কেবল ট্রাম্পের অন্য রাজনৈতিক রসিকতা ছিল?

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad