নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৬ জানুয়ারি: নাবালিকা নৃত্যশিল্পী অদ্রিকা দাসের আত্মহত্যা ও পরবর্তীতে পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দুই যুবককে গ্রেফতার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। এখনও বেশ কয়েকজন পলাতক বলে জানা গিয়েছে। এদিন মূল অভিযুক্ত সুমন্ত বিশ্বাস ও রকি দাস ওরফে বিট্টুকে গ্রেফতার করে বনগাঁ আদালতে পেশ করা হয় পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে। বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সমীর দাস জানান, নানাভাবে নেশার দ্রব্য খাইয়ে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করানো হতো অদ্রিকাকে। সুমন্তর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেই এই ফাঁদে ফেলা হয় বলে অনুমান। এরপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল ডান্স বাংলা ডান্স খ্যাত ওই বছর ১৭-র শিল্পী অদ্রিকা দাসকে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ওই শিল্পী! কীভাবে তৈরি করা হয়েছিল চাপ, কী করতে রাজি না হওয়ার কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছিল এইসব বিষয়ে গোড়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। এদিকে অদ্রিকার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পরিবার-সহ গোটা এলাকায়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে ঘর থেকে উদ্ধার হয় ডান্স বাংলা ডান্স খ্যাত নৃত্যশিল্পী অদ্রিকার দেহ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার অন্তর্গত চাঁদপাড়া বিডিও অফিস এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে ঘটনা ঘিরে।
স্থানীয় মানুষজন ও পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানীয় কয়েকজন যুবক বুল্টন, বিট্টু, সুমন্ত সহ আরও বেশ কয়েকজন মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করছিল অদ্রিকার ওপর। বয়সে অদ্রিকার থেকে বড় হলেও নানাভাবে ভয় দেখিয়ে তাদের সঙ্গে মিশতে বাধ্য করা হতো বলে জানা গিয়েছে। ক্যাফে সহ নানা জায়গায় তাদের সঙ্গেই দেখা যেত অদ্রিকাকে।
ঘটনার দিন ওই যুবকদের মধ্যেই একজন অদ্রিকার বাবাকে ফোন করে জানায় তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি বাড়িতে এসে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন বাবা। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মুহূর্তেই গোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অদ্রিকার ঘর থেকে একটি সুসাইড নোট উদ্ধার হয়, যাতে লেখা আছে- "ক্ষমা করে দিও বাবা-মা"। পরিবারের তরফে থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। তারপরেই এই গ্ৰেফতার।য়
No comments:
Post a Comment