প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৬ জানুয়ারি: মান্যতা রয়েছে, যে কোনও শুভ কাজ করার সময় বাস্তু নিয়মগুলি মাথায় রাখা হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, নিয়ম মেনে কাজ করলে বাড়িতে ইতিবাচক পরিবেশ বজায় থাকে। নিয়ম না মেনে অসতর্ক হলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে মহিলাদের বাস্তু নিয়মের কথা মাথায় রেখে কাজ করা উচিৎ। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, মহিলারা বাস্তু নিয়ম মেনে কাজ করেন, তাঁদের বাড়িতে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ থাকে, যার কারণে বাড়িতে কখনও আর্থিক সংকট হয় না। এটা মনে করা হয় যে, বিবাহিত মহিলাদের কাজ করার সময় বাস্তু নিয়মের প্রতি খেয়াল রাখা উচিৎ, তা না হলে দাম্পত্য জীবন নষ্ট হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়। যেমন -
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, দেবী অন্নপূর্ণা রান্নাঘরে বাস করেন বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাতে খাওয়ার পর সকালে ধোয়ার জন্য মহিলাদের রান্নাঘরে বাসনপত্র রাখা উচিৎ নয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এটি করলে মা অন্নপূর্ণা ক্রুদ্ধ হন, যার কারণে বাড়ির শান্তি নষ্ট হয়। বাড়িতে সব সময়ই একটা অস্থিরতার পরিবেশ থাকে।
বাস্তু নিয়ম অনুসারে, দেবী লক্ষ্মীর ঝাড়ুর মধ্যে অধিষ্ঠান বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মহিলাদের কখনই ঝাড়ুতে পা রাখা উচিৎ নয়। এই জিনিসটি যদি জেনেও অবহেলা করা হয়, তবে তা বাস্তু দোষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেবী লক্ষ্মীর অসন্তুষ্টির কারণে ঘরে দারিদ্র্য আসে।
বাস্তুশাস্ত্রে বলা হয়েছে, মহিলাদের দরজায় লাথি মারা উচিৎ নয়। বিশেষ করে বিবাহিত মহিলাদের এটি মাথায় রাখা উচিৎ, কারণ এটি করা খুব অশুভ বলে মনে করা হয়। সব কিছু জেনেও অসাবধানতা অবলম্বন করলে আর্থিক সমস্যা হয়।
বাস্তু নিয়ম অনুসারে, বিশেষত বিবাহিত মহিলাদের দ্বারপ্রান্তে বসে সাজসজ্জা এবং খাওয়া সহ যে কোনও কাজ করা এড়ানো উচিৎ, কারণ এটি করা খুব অশুভ বলে মনে করা হয়। এতে ঘরে আর্থিক সংকট দেখা দেয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে। প্রেসকার্ড নিউজ কোনও ভাবেই এসব নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment