প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১০ জানুয়ারি: ছোটবেলায় তিনি একজন সাধারণ ছাত্র ছিলেন, একটি পডকাস্ট সাক্ষাত্কারে একথাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এও বলেন, কেউ কোনও ভাবে তাঁকে নোটিশ করবেন, এমনটাও ছিল না। কিন্তু শিক্ষকরা তাঁকে খুব ভালোবাসতেন। নিখিল কামাতকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী এও জানান যে, যা থেকে তিনি দূরে পালাতেন। তিনি বলেন, যদি প্রচুর পড়াশুনা করতে হয় এবং তার মধ্যে প্রতিযোগিতার উপাদান থাকে, তবে আমি তা থেকে পালিয়ে যেতাম।' প্রধানমন্ত্রী মোদী এমন একটি প্রশ্নের উত্তরে এই সব বলেছেন যেখানে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি শৈশবে কী তিনি একজন ভালো শিক্ষার্থী ছিলেন? তিনি নিজেকে একজন সাধারণ ছাত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “একজন শিক্ষক ছিলেন যিনি একদিন বাবার সঙ্গে দেখা করতে যান। তিনি বাবাকে বলেন যে, এর ভেতরে প্রতিভা আছে, কিন্তু এ মনোযোগ দেয় না। খুব দ্রুত সবকিছু গ্ৰ্যাপ করে কিন্তু তারপর হারিয়ে যায় নিজের জগতে। শিক্ষকের অনেক প্রত্যাশাও ছিল।'' প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ''আমার শিক্ষকরা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। কিন্তু অনেক পড়াশুনা করতে হয় এবং এর মধ্যে প্রতিযোগিতার উপাদান থাকে, তাই আমি এটি থেকে পালিয়ে বেড়াতাম। আমি এভাবেই থাকতাম যে, পরীক্ষায় পাশ করে যাও, বেরিয়ে যাও, এটুকুই। তবে আমি অন্য অনেক কাজ করতাম। যে কোনও নতুন অ্যাক্টিভিটি, সেটা ধরে নেওয়াই ছিল আমার স্বভাব।"
ছোটবেলার বন্ধুদের নিয়ে করা প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আমি খুব অল্প বয়সে বাড়ি ছেড়ে সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছি। কারও সাথে কোনও যোগাযোগ ছিল না, না ছিল কোনও লেনাদেনা। কিন্তু যখন আমি মুখ্যমন্ত্রী হলাম, তখন আমার মনে কিছু ইচ্ছে জাগল যে, আমি আমার ক্লাসের যত বন্ধু আছে, সবাইকে সিএম হাউসে আমন্ত্রণ জানাব। আমি এর পেছনে যে কারণটি ভেবেছিলাম তা হল, আমি চাইনি যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আমি একজন মহান মানুষ হয়ে গেছি। আমি সেটাই আছি, যে বহু বছর আগে গ্রাম ছেড়ে গিয়েছিলাম। আমি সেই মুহূর্তটি বাঁচতে চেয়েছিলাম।"
তিনি আরও বলেন, “আমি সবাইকে ডাকি এবং ডিনার করে আড্ডা দিলাম। পুরনো কথা মনে করি, কিন্তু খুব একটা মজা পাইনি, কারণ আমি একজন বন্ধু খুঁজছিলাম, কিন্তু তাঁরা আমার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী দেখছিলেন। ব্যবধান পূরণ হয়নি এবং আমার জীবনে আপনাকে ডাকার মতো কেউ নেই। এখনও সবার সাথে যোগাযোগ আছে, কিন্তু তাঁরা আমাকে খুব সম্মানের চোখে দেখেন। রাসবিহারী মনিয়াল নামে একজন শিক্ষক ছিলেন, তিনি আমাকে চিঠি লিখতেন, তাতে তিনি আমাকে 'তু' বলে ডাকতেন।"
No comments:
Post a Comment