প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ ফেব্রুয়ারি: স্কুলেই ৩ শিক্ষকের লালসার শিকার নাবালিকা ছাত্রী। তাঁকে গণধর্ষণের অভিযোগ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরিতে এই পৈশাচিক ঘটনাটি ঘটেছে। পকসো আইনে মামলা রুজু করে, ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাদের গ্ৰেফতার করা হয় এবং ১৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষকদের।
জানা গিয়েছে, গত একমাস ধরে ওগ ছাত্রী স্কুলে আসছিল না। প্রধান শিক্ষক কারণ জানতে চাইলে ছাত্রীর মা পুরো ঘটনাটি জানান। অবিলম্বে মাকে থানায় অভিযোগ দায়ের করার এবং বিষয়টি জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিকরা জানানোর পরামর্শ দেন। অভিযোগের পর আধিকারিকরা ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পুলিশ এই ঘটনায় পকসো (POCSO)-র অধীনে মামলা দায়ের করেছে। তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে কৃষ্ণগিরির মহিলা পুলিশ দল।
পুলিশ জানায়, ২ জানুয়ারি স্কুলের শৌচালয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, একজন বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক বলেছেন যে, এই ঘটনাটি ২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্যে আসে। এক মাস পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন ছাত্রীর বাবা-মা ঘটনাটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে।
খবর পেয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও) ও চাইল্ড হেল্পলাইন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। চাইল্ড হেল্পলাইন আধিকারিকদের মতে, নির্যাতিতার বাবা-মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্ত শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবী জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার-পরিজনেরা।
No comments:
Post a Comment