প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৪ ফেব্রুয়ারি: দুদিনের আমেরিকা সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকার ব্লেয়ার গেস্ট হাউসে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এখানেই এলন মাস্ক, তুলসি গ্যাবার্ড, মাইকেল গ্যাবার্ড এবং বিবেক রামস্বামীর সাথে বৈঠক করেছেন। এরপর তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও ট্রাম্পের বৈঠকের আগেই বৃহস্পতিবার ব্লেয়ার হাউসের বাইরে আওয়ামী লীগ ও তাঁর সহযোগী সংগঠনের' নেতা-কর্মীরা-সহ অন্যান্যরা তুমুল বিক্ষোভ করেন। এই আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের অপসারণের দাবী করছিলেন।
ওয়াশিংটন ডিসির ব্লেয়ার হাউসের বাইরে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ পার্টি এবং এর সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী জড়ো হয়, যেখানে তাঁরা বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে ব্যানার ও পোস্টার দেখা গেছে। তাঁরা 'খুনি ইউনূস, 'পদ ছাড়ুন' 'পদ ছাড়ুন' স্লোগান দেন।
ব্লেয়ার হাউসের বাইরে বিক্ষোভরত আওয়ামী লীগ কর্মীরা বলেন, 'ড. ইউনূস নিজে একজন অবৈধ নাগরিক এবং সন্ত্রাসীদের সহায়তায় বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করেছেন।' একজন আন্দোলনকারী বলেন, 'বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনও আমাদের প্রধানমন্ত্রী। ইউনূস সন্ত্রাসীদের সহায়তায় তাঁকে তাঁর পদ থেকে জোরপূর্বক অপসারণ করেছেন। কিন্তু এখন আমরা আমাদের দেশে নির্বাচন চাই। নির্বাচনের পর আবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা।'
ব্লেয়ার হাউসের বাইরে উপস্থিত আওয়ামী লীগ কর্মীরা বলেন, 'আমরা এখানে এসেছি বাংলাদেশকে সমর্থন করতে। আমরা বিচার চাই। বাংলাদেশে কী ঘটছে তা বিশ্বের দেখতে হবে। সেখানে প্রকাশ্যে মানুষ খুন হচ্ছে, তাদের বাঁচানোর কেউ নেই। বাংলাদেশ এই সময়ে খুব খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমরা বাংলাদেশকে বাঁচাতে চাই।'
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় একজন বিক্ষোভকারী বলেন, 'গত ৫ আগস্ট থেকে ইউনূস সন্ত্রাসীদের সহায়তায় বাংলাদেশে শাসন করছেন। বাংলাদেশে প্রতিদিনই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। বিশেষ করে হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানে বিশ্বাস করে না। আমরা সুষ্ঠুভাবে বিচার চাই কারণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখানে আছেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এখানে আছেন। আমরা তাঁদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, যাতে বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার পেতে পারেন।'
No comments:
Post a Comment