হোয়াটসঅ্যাপেই 'কবুল হ্যায়' লিখে বিয়ে! থানার‌ দ্বারস্থ পরিবার - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, February 11, 2025

হোয়াটসঅ্যাপেই 'কবুল হ্যায়' লিখে বিয়ে! থানার‌ দ্বারস্থ পরিবার


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১১ ফেব্রুয়ারি: হোয়াটসঅ্যাপেই বিয়ে, প্রেম যেন পরিণতি পেল সমাজমাধ্যমে। শুনেই চমকে উঠলেন তো? কিন্তু অবাক হলেও এমন ঘটনা ঘটেছে বিহারের মুজাফফরপুরে। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তালাপ করতে করতেই হঠাৎই বিয়ে করে বসলেন দুই স্কুল পড়ুয়া। কিন্তু পরিবার তা মানতে নারাজ। ঘটনা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। 


সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুজাফফরপুরে ইন্টারমিডিয়েটের পড়ুয়া এক কিশোর-কিশোরী হোয়াটসঅ্যাপে তিনবার কবুল হ্যায়...কবুল হ্যায়...কবুল হ্যায়...লিখে পাঠায় আর এরপর থেকে দুজনেই নিজেদের বিবাহিত বলে মনে করতে শুরু করেন। যে কোনও পরিস্থিতিতে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অনড় ওই কিশোর। তিনি পঙ্কজ মার্কেটের বাসিন্দা এবং কিশোরী বোচাহান এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। 


বর্তমানে উভয়েরই ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা চলছে। দু'জনের পরিবারই এই চ্যাটের বিয়েকে বিয়ে বলে মানতে রাজি নয়। পুলিশের সহায়তায় দুজনকেই বোঝানোর অনুরোধ করা হয়েছে।


ওই কিশোর জানান, দুই বছর ধরে প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আগেও তিনবার ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন তিনি। কিশোর জানান, প্রথমবার ইউপি, দ্বিতীয়বার ছত্তিশগড় এবং তৃতীয়বার ওই ছাত্রীকে নিয়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন। এমনকি আবারও ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। নগরীর থানায় ঘন্টার পর ঘন্টা যুবককে বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তিনি তার জেদে অনড় থাকেন। এরপর নগর থানার ওসি শরৎ কুমার ওই কিশোরকে অনেক বুঝিয়ে বললে শেষমেষ তিনি শান্ত হন। বর্তমানে পুলিশ দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি শান্ত করার চেষ্টা করছে। 


তাঁরা দুজনেই একে অপরের সাথে দেখা করার জন্য অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু কিশোরী তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে ছিলেন। এতেই ওই কিশোর ক্ষুব্ধ হয়ে পাগলামি করতে থাকে। বাধ্য হয়ে ওই কিশোরের দিদি নগর থানায় পৌঁছে সাহায্যের আবেদন করেন। তিনি জানান, তাঁর ভাই প্রেমে এতটাই পাগল হয়ে উঠেছে যে, সে তাঁর বাবা-মা এবং পুরো পরিবার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। 


পুলিশ এরপর এই পাগল প্রেমিককে থানায় ডেকে তার মোবাইল চেক করে। কিশোরীর সঙ্গে তাঁর অনেক ছবি ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পাওয়া গেছে। কিশোরীকে তিনবার কবুল হ্যায় লিখে, নিজেকে তাঁর স্বামী বলে মেনে নেয়। অন্যদিকে প্রেমিকাও পিছিয়ে ছিলেন না; তিনিও তাঁকে স্বামী মনে করে সিঁথিতে সিঁদুর পড়তে শুরু করে। কিশোর-কিশোরী ভিন্ন সম্প্রদায়ের। তাই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে অন্য কোথাও বিয়ের কথা বলেন। কিন্তু এই মেয়েকেই বিয়ে করতে অনড় সেই ছেলে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad