প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১২ ফেব্রুয়ারি: আয়ুর্বেদে ঘিকে 'স্বর্ণ' অর্থাৎ 'সোনার' সমান ধরা হয়। এটি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে ঈষদুষ্ণ জলে এক চামচ ঘি মিশিয়ে পান করার অভ্যাস আপনার শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী।
ঘি মিশ্রিত কুসুম গরম জল পান করা একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার, যা পাচনতন্ত্রকে মজবুত করা থেকে শুরু করে ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখা, অনেক উপকার দেয়। আসুন জেনে নিই কেন হালকা গরম জলে ঘি মিশিয়ে পান করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
পাচনতন্ত্র মজবুত করা
ঘিতে উপস্থিত বিউটারিক অ্যাসিড পাচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। এটি অন্ত্রের প্রদাহ কমায় এবং হজমশক্তি উন্নত করে। হালকা গরম জলের সাথে ঘি দিয়ে পান করলে পেটের গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি অন্ত্র পরিষ্কার করে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ঘিতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কুসুম গরম জলের সাথে ঘি খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এটি শরীরে শক্তি জোগায় এবং ক্ষিদে নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়ার অভ্যাস রোধ হয়।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বককে ময়শ্চারাইজ এবং উজ্জ্বল করে তোলে। এছাড়াও, এটি চুলকে মজবুত ও ঘন করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম জলে ঘি মিশিয়ে পান করলে ত্বকের রং ভালো হয় এবং চুল পড়া কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক
ঘিতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এটি শরীরকে সংক্রমণ এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়। কুসুম গরম জলে ঘি খেলে শরীরে তাপ বজায় থাকে, যা সর্দি-কাশির মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে।
জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি
ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের ব্যথা এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে। এটি জয়েন্টগুলিকে নমনীয় করে তোলে এবং এতে শক্তি সরবরাহ করে। নিয়মিত জলের সাথে ঘি মিশিয়ে পান করলে বাত এবং জয়েন্ট সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু, পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
No comments:
Post a Comment