প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ ফেব্রুয়ারি: দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বর্ণাঢ্য জয়ের পর সকলের চোখ নতুন সরকার গঠনের দিকে। সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, কে হবেন দিল্লীতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ। এরই মাঝে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের তারিখও জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের পরেই হতে পারে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।
তথ্য অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মার্কিন সফর থেকে ফিরে আসার পরে, অর্থাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারির পরে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে। এই জন্য, বিজেপি নেতাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদী আমেরিকা থেকে ফিরে আসার পরেই বিজেপি সরকার গঠনের দাবী করতে পারে।
এদিকে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বিজেপিতেও মন্থন শুরু হয়েছে। একদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, অন্যদিকে দিল্লী বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবাও দলীয় বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছেন। তথ্যমতে, এই বৈঠকে বিজয়ে অভিনন্দন জানানোর পর সরকার নিয়ে চর্চা হতে পারে। অন্যদিকে, জেপি নাড্ডা এবং অমিত শাহও সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর একদিন আগে শনিবার বিজেপি সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ সিনিয়র নেতারা আলোচনা করেছিলেন। দলের ব্যাপক জয়ের পর, মোদীও উৎসাহী কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
তথ্য অনুযায়ী, লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছেন বীরেন্দ্র সচদেবা। এর আগে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মুখের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।' তিনি এও বলেন, সমস্ত নবনির্বাচিত বিধায়ক তাঁদের অর্পিত দায়িত্ব পালনে সক্ষম।
উল্লেখ্য, বিজেপি প্রতিটি অঞ্চলে এবং বেশিরভাগ সম্প্রদায়ের মধ্যে নির্বাচনে একটি চিত্তাকর্ষক লিড অর্জন করেছে, তাই মুখ্যমন্ত্রী পদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি বিস্তৃত তালিকা রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে তাদের মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করার ক্ষেত্রে দলের পছন্দগুলিকে প্রায়শই একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক বার্তা হিসাবে দেখা হয়, তাই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, দিল্লীও এর ব্যতিক্রম হবে না।
No comments:
Post a Comment