নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ০৪ ফেব্রুয়ারি: সোমবার সকালে উদ্ধার হওয়া মুণ্ডু বিহীন দেহের বাকি অংশের খোঁজ শুরু করল দত্তপুকুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে অকুস্থল ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিয়াকুর বাজিতপুর দু'টি গ্রামের মাঝ দিয়ে কৃষি জমির পাশ দিয়ে যাওয়া খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
সোমবার সকালে হাত পা বাঁধা মুণ্ডুহীন অর্ধ পোড়া যুবকের মৃত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দত্তপুকুর থানার ছোটজাগুলিয়া এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় রক্ত মাখা মদের গ্লাস ও চিপসের প্যাকেট। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরিকল্পিত ভাবে মদ খাইয়ে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। কুকুর পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ছোট জাগুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালিয়াকুর বাজিতপুর দু'টি গ্রামের মাঝ দিয়ে কৃষি জমির মধ্যে দিয়ে গেছে বামনগাছি যাতায়াতের মেঠো রাস্তা। সোমবার সকালে গ্রামবাসীরা যাতায়াত করার সময় মৃত দেহ দেখতে পান আনাজ ঝোপের আড়ালে । খবর দেওয়া হয় দত্তপুকুর থানায়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটির মাথা নেই।গোপনাঙ্গ সহ শরীরের নিম্মাংশে বেশ কিছু আঘাতের ক্ষত আছে। পরনের গেঞ্জি দিয়ে হাত পা বাঁধা। শরীরের বেশ কিছু কিঞ্চিৎ পোড়া। অকুস্থলে কেরোসিনের গন্ধ মিলেছে।পুলিশের অনুমান , প্রমাণ লোপাট করতে কেরোসিন দিয়ে খুনের পর দেহ পোড়ানোর ছক ছিল দুষ্কৃতিদের।তবে রবিবার রাতে কখন ঘটনা ঘটেছে তা জানতে পারেননি এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ নিজাম আলি বলেন, "‘সকালে এসে দেখি দেহ পড়ে আছে। মাথা নেই, পুরো নগ্ন অবস্থায় দেখে চমকে উঠেছিলাম। গায়ের গেঞ্জি দিয়েই হাত-পা বাঁধা রয়েছে। পা পুড়ে গিয়েছে, কেরোসিনের গন্ধ মিলেছে । আমরা এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করি। কখনও এ রকম ঘটনা শুনিনি, দেখিওনি।’
লোকমান হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন বলেন, "এখানে কখনও নেশার আসর বসা বা এ ধরনের অপরাধের ঘটনা আগে ঘটেনি।"
দত্তপুকুর থানার পুলিশ, দেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে পুলিশ এনে কোন পথ দিয়ে দুষ্কৃতীরা যাতায়াত করেছে সেই পথের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করে। পাশের খালে ডুবুরী নামিয়ে দেহাংশ খোঁজে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরিকল্পনা করেই মৃত যুবককে সাথে নিয়ে মদ খাইয়ে হাত পা বেধে খুন করে দেহটি পোড়ানোর চেষ্টা করেছিল। দুষ্কৃতিরা পালানোর সময় মাথা নিয়ে অন্যত্র ফেলেছে। দেহে আঘাতের ক্ষত থেকে পরিস্কার নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে। আশপাশের থানা এলাকার কেউ নিঁখোজ আছে তা জানার চেষ্টার পাশাপাশি এলাকায় যাতায়াতের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরিক্ষা চলছে। বারাসত জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবী, " দুষ্কৃতীদের ধরতে তদন্তকারীরা তৎপর। "
No comments:
Post a Comment