প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৬ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকা স্থিত বাসভবনে বৃহস্পতিবার বুলডোজার চালানো হয়। এর একদিন আগে বুধবার বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলে এবং বর্তমান শাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিরোধের আহ্বান জানালে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভ-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের শেষে মধ্যরাতেই নিয়ে আসা হয় বুলডোজার আর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধুর বাসভবন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। এই বাড়িটি আগে একটি স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় "বুলডোজার মিছিল" করার আহ্বান জানানো হয়েছিল কেননা স্থানীয় সময় রাত ৯টায় হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল।
শেখ হাসিনার ভাষণটির আয়োজন করেছিল আওয়ামী লীগের বর্তমান বিচ্ছিন্ন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। শেখ হাসিনা স্পষ্টতই নোবেল বিজয়ী মোহাম্মদ ইউনূসের সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “তাঁর কাছে এখনও এত শক্তি নেই যে, তিনি জাতীয় পতাকা, সংবিধান এবং স্বতন্ত্রতাকে বুলডোজার দিয়ে নষ্ট করতে পারে, যা আমরা
লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত করেছি।" প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "তিনি দালান ভাঙতে পারেন, কিন্তু ইতিহাস নয়...তবে তাঁর এটাও মনে রাখা উচিৎ যে, ইতিহাস নিজের প্রতিশোধ নেয়।"
শেখ হাসিনা বলেন, "আল্লাহ যদি আমাকে এই সব হামলার সময়েও বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে অবশ্যই আমার কিছু কাজ বাকি আছে। নইলে এতবার মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতাম কী করে।" তিনি বর্তমান সরকারকে সরাসরি নিশানা করে বলেন, সাম্প্রতিক আন্দোলন তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে নির্মূল করার জন্য সংগঠিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, এবার মোহাম্মদ ইউনুসের পরিকল্পনা ছিল আমাকে ও আমার বোনকে মারার। শেখ হাসিনা বলেন, "তিনি তাঁর (মোহাম্মদ ইউনূস) গ্রামীণ ব্যাংক ও এর কার্যক্রমকে ৪০০ কোটি টাকা অর্থায়নে সহায়তা করেছিলেন, কিন্তু পুরো অর্থই লুট হয়ে গেছে। বাংলাদেশ এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষের কারণে কষ্ট করছে।"
No comments:
Post a Comment