প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৩ ফেব্রুয়ারি : মহানায়িকা সুচিত্রা সেন আজও সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বাঙালির কাছে। সত্তরের দশকের এই অভিনেত্রীর রূপের কাছে হার মানবেন এ যুগের যে কোনও নায়িকা। যৌবনে সুচিত্রাকে রূপে টেক্কা দেওয়ার মত কেউ ছিলেন না ইন্ডাস্ট্রিতে। বয়স একটু বাড়তেই নিজেকে আড়ালে রাখতে শুরু করেন সুচিত্রা। তবুও যারা তাকে দেখেছেন মুগ্ধ হয়েছেন। বয়স যতই বাড়ুক না কেন, সুচিত্রা সেনের গ্ল্যামার কিন্তু অটুট ছিল। কেমন দেখতে হয়েছিল তাকে শেষ জীবনে?
সুচিত্রা সেন যখন টলিউডকে বিদায় দিয়ে নির্বাসন নিয়েছিলেন তখন তার বয়স ছিল খুবই কম। বলতে গেলে অকালেই অভিনয় ছেড়ে দেন মহানায়িকা। তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক জল্পনা ছিল। অনেকে অনেক রকম কারণ খুঁজেছেন এর পেছনে। কেউ দায়ী করেন উত্তম কুমারের মৃত্যুকে, কেউ বলেন সুচিত্রা চাননি তার চেহারার বয়সের ছাপ সকলে দেখুন। আর হয়েছেও তাই। সুচিত্রা ঠিক যেভাবে সিনেমার পর্দা থেকে বিদায় নিয়েছিলেন, আজও তার কথা উঠলে মহানায়িকার সেই গ্ল্যামারাস চেহারাটাই সকলের নজরে ভাসে।
যদিও মুনমুন সেন পরবর্তীকালে বলেছিলেন আসলে উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর সত্তরের ওই শেষ ভাগে টলিউড একটা পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সুচিত্রার যে ধরনের ছবি কিংবা যেসব পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন তারা একে একে মারা যান। টলিউডে ছবির ধাঁচ বদলাতে শুরু করে। সুচিত্রা এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না। আর তাছাড়া সুচিত্রা সেনকে বেলুড় মঠের মহন্ত নির্লোভী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। অর্থ, যশ, খ্যাতি, প্রতিপত্তি এসবের পিছনে আর না ছুটে সুচিত্রা তাই ঘরোয়াভাবেই পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে দিলেন বাকি জীবনটা।
সুচিত্রা সেন নির্বাসন নেওয়ার পর তার কোনও ছবিই আর সেভাবে পাওয়া যায় না। তবে তাই বলে এই নয় যে তিনি একেবারে নিজেকে ঘর বন্দি করে ফেলেছিলেন। পরবর্তীকালে সুচিত্রার মেয়ে মুনমুন সেন বলেন তার মা লোকালয়ে বেরোতেন নাতনিদের নিয়ে। রিয়া এবং রাইমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হতেন কলকাতার রাস্তাতে। কিন্তু তাকে দেখে চিনতে পারতেন না কেউ। তার খুবই বিরল একটি ছবি এখন পাওয়া যায় নেট মাধ্যমে। যেটা দেখলে বুঝতে পারবেন শেষ জীবনেও কতটা সুন্দরী ছিলেন বাঙালির মহানায়িকা।
No comments:
Post a Comment