প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১০ ফেব্রুয়ারি : সংগীত দুনিয়ার সম্রাজ্ঞী তিনি। তাঁকে বলা হত সুরের নাইটিংগেল। লতা মঙ্গেশকর তার গান দিয়ে গোটা বিশ্বের মন জয় করেছিলেন। সারা পৃথিবীতে কোটি কোটি ভক্ত রয়েছেন তাঁর। গানকেই সারা জীবন সঁপে দিলেন লতা। তিনি বিয়ে করেননি। সংসার গড়েননি। কিন্তু প্রেমে পড়েছিলেন এক রাজপুত্রের। রূপকথার মত ছিল তাঁদের সেই প্রেম। কিন্তু রূপকথার মত হ্যাপি এন্ডিং ছিল না লতার জীবনে। বিয়ে না করলেও সিঁথিতে সিঁদুর দিতেন লতা। কার জন্য জানেন?
১৯২৯ সালে একটি মারাঠা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লতা। ৫ ছেলেমেয়েকে নিয়ে লতার বাবা-মায়ের খুবই কষ্টের সংসার ছিল। তবে এত কষ্টের মধ্যেও লতা মাত্র ৫ বছর বয়সে গান শেখা শুরু করেন। বাবাই ছিলেন তাঁর সঙ্গীত শিক্ষার প্রথম গুরু। ১৯৪২ সালে গানের দুনিয়াতে পুরোদস্তুর তার কর্মজীবন শুরু হয়। কয়েক দশকে তিনি ৩৬ টি ভাষায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। তাঁর গানে মুগ্ধ হয়েছিলেন মহারাজা রাজ সিং দুঙ্গারপুরও।
দুঙ্গারপুর রাজ পরিবারের রাজ সিং দুঙ্গারপুর ও লতা মঙ্গেশকরের প্রেম চর্চা তখন ছিল বলিউডের ওপেন সিক্রেট। একে অপরকে খুবই ভালোবাসতেন তাঁরা। রাজসিংহ সেই সময়ের ক্রিকেটার ছিলেন। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। লতার ভাই হৃদয়নাথের বন্ধু ছিলেন তিনি। সেই সূত্রেই দুজনের আলাপ হয়েছিল। বন্ধুর দিদির সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম হয় রাজের। বিয়েও করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রাজের পরিবার। রাজ সিংহকে রীতিমতো তার বাবা-মায়ের কাছে প্রতিজ্ঞা করতে হয়েছিল তিনি কোনও সাধারণ ঘরের মেয়েকে বিয়ে করবেন না। রাজসিংহ সেই প্রতিজ্ঞা করতে বাধ্য হন। তবে সেই সঙ্গে তিনি আরও এক কঠিন প্রতিজ্ঞা করেন। কোনদিনই কাউকে বিয়ে করবেন না, রাজ সিংহ লতাকে না পেয়ে এমনই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। বিয়ে না করেই রাজ এবং লতা একে অপরের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। অন্যদিকে লতাও মনে মনে রাজকেই স্বামী হিসেবে মানতেন। তাই তিনি তারই নামে সিঁদুর পরতেন। বলা হয় তাহলে নাকি গোপনে বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু পরিবারের ভয়ে সত্যিটা স্বীকার করতে পারেননি।
No comments:
Post a Comment