নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১০ ফেব্রুয়ারি: প্রেমিকের চাপের মুখে পরে আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, এমনই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘর থেকে ওই পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থানার অন্তর্গত গুমা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট বামুনিয়ার এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ১৬ বছর বয়সী সোনালি খাতুন গুমার রবীন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। আজ সোমবার ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম ভাষার পরীক্ষা। সিট পড়েছিল রাজিবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। পরিবারের সদস্যর অভিযোগ, তারপরে একটি ফোন আসে এবং ওই ছাত্রী নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর ফ্যানের সাথে ওড়না ও গামছা ব্যবহার করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
সোনালির বন্ধুরা জানান, ২২ বছর বয়সী, জসিম দফাদার নামে এক যুবক দীর্ঘ দু'বছর তাঁকে বিভিন্ন সময় উত্তপ্ত করতেন। প্রথম দিকে সম্পর্ক থাকলেও তারপরে তাতে ভাটা পরে এবং যুবককে প্রেমে প্রত্যাখ্যান করে সে। এরপর থেকে যুবক উত্যক্ত করতে থাকে এই ছাত্রীকে।রবিবার বিকেলেও নিজের বান্ধবীর সাথে এই বিষয় আলোচনা করে সোনালি, এমনকি নিজের এই আত্মঘাতী হওয়ার কথাও বলে। যদিও এসবের পর সোমবার সকালে প্রথম ভাষার পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে আসে সে।
কিন্তু এরপরেই একটা ফোন আসে এবং সেই সময় ঝামেলা হচ্ছিল বলেও দাবী করেন ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে কোনও খোঁজ না পেয়ে ডাকাডাকি করেন তাঁরা। এরপরেও সাড়া না পেয়ে দেখতে পায় ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। তারপরেই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় ছাত্রীকে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। মঙ্গলবার তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হবে।
এদিকে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। গোটা ঘটনা তদন্ত করছে অশোকনগর থানার পুলিশ। ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
No comments:
Post a Comment