প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৪ ফেব্রুয়ারি: ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে আমেরিকার ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রথম বক্তৃতায় বলেছিলেন, তিনি আমেরিকা ফার্স্ট নীতি অনুসরণ করবেন। তিনি অন্যান্য দেশকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের ঘোর বিরোধী। এমন পরিস্থিতিতে ইলন মাস্ক পর্যন্ত বলে দিয়েছেন যে, এটি একটি অপরাধমূলক সংগঠন এবং এটি বন্ধ করা উচিৎ। তবে এটি বন্ধ না করে এতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনার প্রস্তুতি নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রথমত, এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে।
মার্কিন সরকারের তরফে জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, আমেরিকার ইউএসএআইডি সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে নিজের আসল মিশন থেকে বিচ্যুত হয়েছে। সংস্থাটি যে অর্থায়ন করছে তা আমেরিকার জন্য অকেজো। এমতাবস্থায় সংস্থাটিকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কংগ্রেসকে জানিয়েছেন যে বিদেশী অর্থায়নের সমীক্ষা করা হবে এবং সংস্থাটিকে পুনর্গঠিত করা হবে। এটি সুনিশ্চিত করা হবে যে, সংস্থাটি আমেরিকানদের স্বার্থে কাজ করবে এবং জনগণের ট্যাক্স যেন বেকার না যায়।
উল্লেখ্য, সংস্থার অর্থায়ন আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং অনেক কর্মচারীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ক বলেন, প্রতি বছর সংস্থাটি মানবিক সহায়তার নামে কোটি কোটি ডলার অন্য দেশকে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প চান এটি বন্ধ করে দেওয়া হোক। বলা হয় যে, ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট ডিওআই-কে এজেন্সিতে প্রবেশাধিকার দিতে অস্বীকার করার পরে তিনি এই সংস্থার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তিনি এটিকে একটি অপরাধমূলক সংগঠনও বলেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য জো বিডেন প্রশাসনেরও সমালোচনাও করেছেন। ইউএসএআইডি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬১ সালে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি এই মানবিক শাখাটি শুরু করেছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ এবং দারিদ্র্য কমানোর অভিযান। আমেরিকা এই মানবিক কাজের জন্য তহবিল জারি করত। এই সংস্থার কাজ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে মজবুত করতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
No comments:
Post a Comment