প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৩ ফেব্রুয়ারি: শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। আপনি সারাদিন কি করেন, কি খান এবং আপনার দিন কিভাবে কাটে তার সরাসরি প্রভাব আপনার স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ করে আপনি কীভাবে দিন শুরু করেন তা সরাসরি আপনার স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। এ কারণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সব মানুষকে দিনের শুরুতে বা খালি পেটে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও পান করার পরামর্শ দেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অলসতা থেকে মুক্তি পেতে আমরা এমন অনেক অভ্যাস গ্রহণ করি, যা আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। সকালের কিছু অভ্যাস স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু অভ্যাসের কথা যা স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
১- স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে জলখাবার খেয়ে আবার ঘুমাতে গেলে তা হজম প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং পেট সংক্রান্ত নানা সমস্যার শিকার হতে পারেন।
২- অনেকেই আছেন সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে মোবাইল বা টিভি দেখা শুরু করেন। এই অভ্যাসটি ছোট মনে হলেও আপনাকে আপনার বয়সের আগেই বুড়ো করে দিচ্ছে। মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার চোখ ও মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি ঘুমের গুণমানকেও প্রভাবিত করে।
৩- এছাড়া অনেকেরই দিন শুরু হয় চা বা কফিতে চুমুক দিয়ে। কিন্তু এটি ঠিক নয়। এটা করলে শরীরে ক্যাফেইনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা হার্ট ও রক্তচাপের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে চা বা কফি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খালি পেটে চা বা কফি পান করাও আপনার হজমের জন্য ভালো নয়, এই অভ্যাস গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডাঃ যুগল কিশোর এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলেন, 'সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের রুটিনে উন্নতি করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে ফোনের দিকে তাকানোর অভ্যাস বিপজ্জনক, তার বদলে খবরের কাগজ বা বই পড়ুন। সুস্থ থাকতে চাইলে ব্যায়াম করুন। এটি মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করবে এবং আপনার দিনটি ভালভাবে শুরু করবে। অনেকে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর স্নান করা এড়িয়ে যান এবং মুখ ও হাত ধুয়ে কাজে চলে যান। নিয়মিত এই অভ্যাসটি গ্রহণ করলে ত্বকের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে এবং আপনিও অনেক সংক্রামক রোগের শিকার হতে পারেন।'
অতএব, আপনি যদি আপনার দৈনন্দিন রুটিন এবং দৈনন্দিন অভ্যাসের উন্নতি করেন তবে এটি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা সহজ করে তুলতে পারে।
No comments:
Post a Comment