প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ ফেব্রুয়ারি: মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ইম্ফল রাজভবনে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এর আগে আজ অর্থাৎ ৯ই ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন বীরেন সিং। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই পদত্যাগ নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি। এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
এদিন এক্স পোস্টে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, "প্রায় দুই বছর ধরে, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং মণিপুরে বিভাজন তৈরি করেছেন। মণিপুরে সহিংসতা, জানমালের ক্ষতি এবং ভারতের ভাবনা ধ্বংস হওয়া সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকতে অনুমতি দিয়েছেন। এন বীরেন সিংয়ের ইস্তফা থেকে জানা যায় যে, লোকেদের ক্রমবর্ধমান চাপ, সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত এবং কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাব, তাঁকে এটা করতে বাধ্য করেছে। কিন্তু সবচেয়ে আগে জরুরি রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা এবং মণিপুরের লোকেদের ক্ষত ভরাট করতে কাজ করা।"
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদীর অবিলম্বে মণিপুর সফর করা উচিৎ, জনগণের কথা শোনা উচিৎ এবং সেখানকার পরিস্থিতি কীভাবে স্বাভাবিক হবে সে সম্পর্কে সরকারের পরিকল্পনা জানানো উচিৎ।"
এর পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে পোস্টে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, "কাল মণিপুর বিধানসভায়, কংগ্রেস দল মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রী পরিষদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।"
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, "কংগ্রেস পার্টি ২০২৩ সালের মে থেকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবী জানিয়ে আসছিল, যখন মণিপুর অশান্ত ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দেরিতে হয়েছে। মণিপুরের মানুষ এখন আমাদের ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য অপেক্ষা করছেন, যিনি এখন ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রওনা হয়েছেন এবং যিনি গত ২০ মাসেও মণিপুর যাওয়ার জন্য না তো সময় পেয়েছেন এবং না তাঁর ইচ্ছা ছিল।"
অপরদিকে, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-এর পদত্যাগ প্রসঙ্গে মণিপুর বিজেপির সভাপতি এ শারদা দেবী বলেন, "আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজ্যপালের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি রাজ্যের মানুষের জন্য পদত্যাগ করেছেন। রাজ্যের অখণ্ডতা রক্ষা করতে এবং রাজ্যের জনগণকে রক্ষা করার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও অনুরোধ করেছেন। রাজ্যের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তিনি পদত্যাগ করেছেন। বিধায়কদের মধ্যে কোনও মতভেদ নেই।"
No comments:
Post a Comment