প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১০ ফেব্রুয়ারি: ক্ষিপ্ত হয়ে এক শিক্ষকের ওপর চড়াও হলেন প্রিন্সিপাল। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১৮ বার চড় মারেন তিনি ওই শিক্ষকে। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের ভারুচ জেলার একটি স্কুলে। অভিযুক্ত প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর মারধরের এই ভিডিও ঝড়ের গতিতে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ভারুচের জাম্বুসার শহরের একটি স্কুলে। অভিযুক্ত প্রিন্সিপালের নাম হিতেন্দ্র সিং ঠাকুর, আর আক্রান্ত শিক্ষকের নাম রাজেন্দ্র পারমার। বলা হচ্ছে যে, গণিত এবং বিজ্ঞানের ক্লাস পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরে এই বিবাদ হয়। অধ্যক্ষ শিক্ষককে তার অফিসে কথা বলার জন্য ডেকেছিলেন।
ভারুচ জেলা শিক্ষা আধিকারিক স্বাতিবা রাওয়াল বলেছেন, ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা তদন্তের সময় স্কুলের প্রিন্সিপাল হিতেন্দ্র সিং ঠাকুরকে স্কুলে আসতে নিষেধ করে দেন। স্কুলের প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে ঠাকুরকে তার কেবিনে বসে রাজেন্দ্র পারমারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন সহকর্মীও সামনে বসেছিলেন। হঠাৎ প্রিন্সিপাল চেয়ার থেকে উঠে পড়েন।
এরপর ছুটে যান রাজেন্দ্র পারমারের দিকে এবং তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। অন্যান্য লোকের উপস্থিতিতে তাঁর মুখে ১৮ বার চড় মারেন এবং ওই শিক্ষককে আসন থেকে পা ধরে টেনে নামিয়ে আনেন। ভিডিওতে লোকজনকে হস্তক্ষেপ করতেও দেখা যায়। স্কুল ম্যানেজমেন্ট ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে এবং প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
তিনি বলেন, “প্রিন্সিপাল হিতেন্দ্র সিং ঠাকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর আমি ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটি আজ সোমবার প্রিন্সিপালের বক্তব্য রেকর্ড করবে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নেব। বর্তমানে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছে।'' তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কারণ কী ছিল সে বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেননি।
অপরদিকে অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল জানান, রাজেন্দ্র পারমার গণিত ও বিজ্ঞানের ক্লাস নেন। অনেক অভিভাবক তাঁর আচরণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবী করেন, "অনেক অভিভাবক পারমারের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাই আমি তাকে ৬ ফেব্রুয়ারি একটি বৈঠকের জন্য ডেকেছিলাম। সেই বৈঠকের সময় আমি তাঁকে ভদ্রভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি, কিন্তু তিনি তর্ক শুরু করে দেন।"
No comments:
Post a Comment