প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১০ ফেব্রুয়ারি : সোমবার কংগ্রেসের সিনিয়র নেত্রী তথা দলের সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আদমশুমারি পরিচালনার দাবী উত্থাপন করেছেন যাতে সমস্ত যোগ্য ব্যক্তি খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় নিশ্চিত সুবিধা পেতে পারেন। রাজ্যসভায় শূন্য আওয়ারে এই বিষয়টি উত্থাপন করে তিনি আরও বলেন যে খাদ্য নিরাপত্তা কোনও বিশেষাধিকার নয় বরং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার।
তিনি বলেন, "ইউপিএ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ছিল একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ যার লক্ষ্য ১৪০ কোটি জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা নিশ্চিত করা।" তিনি বলেন, "এই আইন লক্ষ লক্ষ দুর্বল পরিবারকে অনাহার থেকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারীর সংকটের সময় এবং এই আইন প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার ভিত্তিও তৈরি করেছে।"
সোনিয়া গান্ধী বলেন যে খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে, গ্রামীণ জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ এবং শহরের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য পাওয়ার অধিকারী। তবে, তিনি বলেন, সুবিধাভোগীদের জন্য কোটা এখনও ২০১১ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, যা এখন এক দশকেরও বেশি পুরনো।
তিনি বলেন, "স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, আদমশুমারি ৪ বছরেরও বেশি বিলম্বিত হয়েছে। মূলত এটি ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু কখন আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্টতা নেই।'' সোনিয়া গান্ধী বলেন, "বাজেট বরাদ্দ থেকে দেখা যাচ্ছে যে এই বছরও আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।"
তিনি বলেন, 'এইভাবে, প্রায় ১৪ কোটি যোগ্য ভারতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের আওতায় তাদের প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।' সরকারের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আদমশুমারি সম্পন্ন করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং খাদ্য নিরাপত্তা আইনের আওতায় নিশ্চিত সকল যোগ্য ব্যক্তি যাতে সুবিধা পান তা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, 'খাদ্য নিরাপত্তা কোনও বিশেষাধিকার নয়, এটি একটি মৌলিক অধিকার।'
No comments:
Post a Comment