প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৪ ফেব্রুয়ারি: আমাদের শরীরের সবচেয়ে সূক্ষ্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল হৃদয়।কিন্তু আজকের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় এর যত্ন নেওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।দীর্ঘ সময় ধরে হৃদপিণ্ডকে উপেক্ষা করলে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং মাথা ঘোরার মতো লক্ষণগুলি হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা নির্দেশ করে,যা জীবনের মানকে প্রভাবিত করতে পারে।
সিপিআর কর্মশালায় গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
সম্প্রতি গোমতী নগর এক্সটেনশনের একটি হোটেলে একটি কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল।যেখানে লোহিয়া ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডাঃ ভুবন চন্দ্র তিওয়ারি স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং নাগরিকদের সিপিআরের সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সে সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন।এখানে তিনি আরও জানান যে,ডিসপ্রিন হার্ট অ্যাটাকের সময় কিছুটা আরাম দিতে পারে।এটি চিবিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করা উচিৎ,যাতে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই আরাম পাওয়া যায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর -
প্রশ্ন: হৃদপিণ্ডের উপর যাতে কোনও নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে,সেজন্য কতটা রান্নার তেল ব্যবহার করা উচিৎ?
উত্তর: রান্নায় কেবল ততটুকুই তেল ব্যবহার করুন যাতে পাত্রে খাবার পুড়ে না যায়।দেশি ঘি এবং অতিরিক্ত তেল এড়িয়ে চলুন।
প্রশ্ন: হৃদরোগ এড়াতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ?
উত্তর: এর জন্য ডায়াবেটিস,রক্তচাপ,ধূমপান এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।প্রয়োজনে ওষুধ খান। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ ঘন্টা ঘুমান এবং ১০,০০০ কদম হাঁটুন। আপনার বেল্টের আকার বাড়ানো এড়িয়ে চলুন।
প্রশ্ন: বুকে ব্যথা হৃদরোগের লক্ষণ কিনা তা কীভাবে বুঝবেন?
উত্তর: হাঁটার সময় যদি আপনার শ্বাসকষ্ট হয়,বুকে ব্যথা হয় এবং থামতে হয়,তাহলে এটি হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে। কোলেস্টেরল জমে যাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং নিয়মিত ৬ কিমি হাঁটুন।ডাক্তারের সাথে দেখা করাও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: রসুনের রস, আদা এবং পনির কি হৃদরোগের জন্য উপকারী?
উত্তর: হৃদরোগের সময় রসুন এবং আদার রস কার্যকর নয়। তবে ঘরে তৈরি খাবার সহায়ক হতে পারে।আপনি সীমিত পরিমাণে পনির খেতে পারেন।তবে তারপর হাঁটার অভ্যাস করুন।একটি ভালো জীবনধারা হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
হৃদরোগের লক্ষণ -
শ্বাসকষ্ট।
শারীরিক কার্যকলাপ হ্রাস।
সায়ানোসিস (ত্বক,ঠোঁট এবং নখের নীলাভ বিবর্ণতা)।
ক্ষুধামান্দ্য।
দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস।
ঘন ঘন ফুসফুসের সংক্রমণ।
ওজন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
পা বা পেটে ফোলাভাব।
মাথা ঘোরা,সাধারণ ক্লান্তি।
দ্রুত এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন।
সতর্কতা চিহ্ন -
মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান বোধ করা।
বমি বা বমি-বমি ভাব।
বুকে বা শরীরের উপরের অংশে অস্বস্তি,যা বাহু বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ঠাণ্ডা লাগা বা ঘাম।
বুকে চাপ বা ব্যথা।
হৃদরোগের এই লক্ষণগুলি এবং সতর্কতাগুলি শনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,যাতে সময়মত চিকিৎসা করা যায় এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment