কেন স্বামীর সঙ্গে থাকেন না স্বস্তিকা? কে অভিনেত্রীর স্বামী? - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, February 27, 2025

কেন স্বামীর সঙ্গে থাকেন না স্বস্তিকা? কে অভিনেত্রীর স্বামী?



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৭ ফেব্রুয়ারি : দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। অথচ স্বামীকে ডিভোর্সও দেননি টলিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী। কেন জানেন? স্বস্তিকা মুখার্জীর স্বামীই বা কে? রিলের মত রিয়েলেও মাঝেমধ্যেই স্বস্তিকার সিঁথিতে সিঁদুর, হাতে শাখা এবং পলা দেখা যায়। তাই নেট নাগরিকদের মনে তার বিয়ে নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। ভালোবেসে বিয়ে করলেও কেন সংসার করতে পারলেন না অভিনেত্রী? আজ জানাবো এই প্রতিবেদনে।


স্বস্তিকা মুখার্জী ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন প্রমিত সেনকে। তিনি প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাগর সেনের ছেলে। তখন স্বস্তিকার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। কিন্তু এই বিয়ের মেয়াদ হয়েছিল মাত্র দুই বছর। ২০০০ সালে মেয়ে অন্বেষার জন্মের পরপরই পাকাপাকিভাবে স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন স্বস্তিকা। স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল তার।


স্বস্তিকা মুখার্জী স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন প্রমিতের বিরুদ্ধে। জানান গর্ভাবস্থায় তাকে তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা একটি ঘরে আটকে রেখেছিলেন। এমনকি যৌতুকের জন্য স্বস্তি তাকে চাপও দেওয়া হত। এইসব অভিযোগ তুলে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ১০ বছর পর সবাইকে চমকে দিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি কার্যত স্বীকার করে নেন প্রমিতের বিরুদ্ধে যা কিছু অভিযোগ তুলেছিলেন, সব মিথ্যে ছিল। এমনকি আদালতে হলফনামা দাখিল করে তাকে স্বীকার করতে হয়েছিল তিনি তার স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।



কেন স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছিলেন স্বস্তিকা?

এই প্রসঙ্গে স্বস্তিকাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি একবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেন তখন তার বয়স খুবই কম ছিল। তাকে তার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মীরা যেমন পরামর্শ দিতেন, তিনি সেটাই করতেন। এর জন্য প্রমিত এবং তার পরিবারকে যা কিছু সহ্য করতে হয়েছিল, তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন স্বস্তিকা। কিন্তু মামলার ২৫ বছর পেরিয়ে গেলেও স্বস্তিকা প্রমিতের থেকে ডিভোর্স পাননি। তবে ভারতীয় বিচারব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে তার। তিনি মনে করেন একদিন তিনি ঠিকই এই বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।


তবে আজ এত বছর পর বিয়ের জন্য মোটেও আফসোস নেই স্বস্তিকার মনে। কারণ তিনি মনে করেন তিনি বিয়ে না করলে তো তার মেয়ে অন্বেষাকে পেতেন না। আর অন্বেষা তার জীবনে না থাকলে তার অস্তিত্বটাই ফিকে হয়ে যেত। বিগত ২৫ বছর ধরে মেয়েকে একা হাতেই মানুষ করছেন তিনি। মেয়ে এখন তার জীবনের সবথেকে বড় বন্ধু।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad