উত্তর ২৪ পরগনা, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২০:২০:০০: দুর্নীতিল দায়ে গ্রেফতার হলেন মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ঘনিষ্ঠ লক্ষণ ঘোষ। বিজেপি নেতা গ্রেফতারের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ানোর পাশাপাশি স্বভাবতই উজ্জীবিত শাসক তৃণমূল। কিন্তু কে এই লক্ষণ ঘোষ? জানা গিয়েছে, বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কোষাধক্ষ পদে রয়েছেন এই নেতা। মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের পাশাপাশি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের সঙ্গেও যথেষ্ট সখ্যতা রয়েছে লক্ষণের। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি জ্বলজ্বল করছে রীতিমতো। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করিনি সংবাদমাধ্যম।
বনগাঁ তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের দাবী, 'করোনার আগে থেকেই এই ধরণের ছোটো-বড়ো বিজেপি নেতারা তাদের সীমিত ক্ষমতার ওপর ভর করে বাজার থেকে টাকা তুলেছেন। অভিযুক্ত লক্ষণ চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরি প্রার্থীদের ভুল বুঝিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মোটের ওপর বিজেপি দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত, এটা তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপিকে দূর করে দেবে।'
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, 'বিজেপি দলের বা বিজেপি পার্টিতে ঘনিষ্ঠ বলে কিছু হয় না। কে কার সঙ্গে ছবি তুলল এবং কোথায় পোস্ট করল, সেটা দেখার দায়িত্ব দলের নয়।' পাশাপাশি এই ঘটনা পক্ষান্তরে স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, এটা ২০১৮ সালের ঘটনা। ২০১৮ সাল থেকে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা ওই নেতার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তার দায় দলের নয়। যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, আইন আইনের পথে চলবে। তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা প্রশাসন নেবে। এতে আমাদের কিছু বলার নেই। তৃণমূলের যে নেতারা এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন তাঁরা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত।'
তবে, ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে বনগাঁ সংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হওয়ায় গেরুয়া শিবির বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহল মহলের।
No comments:
Post a Comment