উত্তর ২৪ পরগনা, ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০:০৪: প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে গভীর রাতে পেট্রাপোল সীমান্তে নাবালিকা। অচেনা নাবালিকাকে পেয়ে আটকে রেখে অশালীন আচরণ, শারীরিক হেনস্থার চেষ্টার অভিযোগ। উদ্ধার করল পুলিশ।
বাংলাদেশী প্রেমিকের টানে ডায়মন্ড হারবার থেকে বনগাঁয় এসে পথ হারিয়ে ফেলেছিল নাবালিকা। উদ্দেশ্য ছিল সীমান্ত পেরিয়ে প্রেমিকের বাড়ি যাওয়ার। গুগল ম্যাপ দেখে যাওয়ার চেষ্টাও করছিল, টোটোয় উঠে রাতে পেট্রাপোল থানার জয়ন্তীপুর বাজারে পৌঁছায় ওই নাবালিকা। কিন্তু অভিযোগ, গভীর রাতে ওই সময় স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে নিয়ে যায় এবং তাঁকে আটকে রেখে হেনস্থা করা হয়। নাবালিকার চিৎকার-চেঁচামিচ শুনে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে, খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পেট্রাপোল থানার জয়ন্তপুর সীমান্তে।
নাবালিকার বক্তব্য, ওই ছেলেদের উদ্দেশ্য ভালো ছিল না। তাদের হাত থেকে বাঁচতে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালায়। নাবালিকার কথায়, 'এলাকার লোকজন এসে উদ্ধার না করলে আমার সর্বনাশ হয়ে যেত। আমার জামা ধরে টানাটানি করছিল ওরা।'
সূত্রে খবর, বাংলাদেশের যশোরের এক যুবকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় রয়েছে ওই নাবালিকার। তাঁর সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যেই প্রেমের টানে সীমান্ত এলাকায় আত্মীয় বাড়ির উদ্দেশ্যে এসেছিল সে।
পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার ফলতা এলাকায় তাঁর বাড়ি। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে পালিয়ে বনগাঁ শিয়ালদা লোকাল ধরে বনগাঁ এসেছিল। একটি প্রেমের বিষয় রয়েছে। এদিন বাড়িতে কাউকে না বলে পালিয়ে আসে ওই নাবালিকা। তাঁর পরিবার স্থানীয় ফলতা থানায় নিখোঁজ ডাইরিও করেছিল। ফলতা থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। ফলতা থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে।
স্থানীয়রা জানান, রাত একটা নাগাদ নাবালিকার চিৎকার শুনে উঠে পড়েন তাঁরা। তাঁদের নাবালিকা জানায় মাসির বাড়ি যাবে বলে বেরিয়েছিল। গুগল ম্যাপ দেখে আসার পথে ভুল করে ওই এলাকায় চলে আসে। পরে স্থানীয় দুই যুবক তাঁকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করতে গেলে সে লাফ দিয়ে পালিয়ে এসে চিৎকার চেঁচামিচি শুরু করে। স্থানীয়রা এরপর পুলিশকে জানালে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment