'ঢাকা এই অঞ্চলের সমুদ্রের একমাত্র সংরক্ষক, এতে ভারতের---'; চীনকে আকৃষ্টের চেষ্টায় ইউনূসের বিতর্কিত মন্তব্য - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, March 31, 2025

'ঢাকা এই অঞ্চলের সমুদ্রের একমাত্র সংরক্ষক, এতে ভারতের---'; চীনকে আকৃষ্টের চেষ্টায় ইউনূসের বিতর্কিত মন্তব্য


ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৯:৪০:০০: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি চারদিনের চীন সফর থেকে দেশে ফিরেছেন। তিনি চীনে অবস্থানকালে একটি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, যেহেতু ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত (ভূমি দ্বারা বেষ্টিত) এবং সমুদ্রের সাথে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই, তাই তাদের দেশ সেই অঞ্চলের সমুদ্রের আসল অভিভাবক এবং এই বিষয়ে তিনি চীনকে সেই অঞ্চলে উন্নয়ন প্রকল্প স্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।


চীনে দেওয়া মোহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের এই ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। ক্লিপটিতে, মোহাম্মদ ইউনূসকে বলতে শোনা যায় যে, ঢাকা এই অঞ্চলের সমুদ্রের একমাত্র সংরক্ষক। ভারতের সাতটি রাজ্য, ভারতের পূর্ব অংশ, যাকে সেভেন সিস্টার বলা হয়...তারা ল্যান্ডলকড দেশ, ভারতের ল্যান্ডলকড অঞ্চল। তাদের কাছে সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনও রাস্তা নেই।” তিনি বলেন, বাংলাদেশ “সমুদ্রের সংরক্ষক” তাই চীনকে এই অঞ্চল সম্প্রসারণের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।



প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল এক্স পোস্টে ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, "এটা আকর্ষণীয় যে, ইউনূস এই ভিত্তিতে চীনাদের কাছে জনসমক্ষে আবেদন জানাচ্ছেন যে ভারতের ৭টি রাজ্য চারদিকে স্থলবেষ্টিত। চীনকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে স্বাগত জানাচ্ছে, কিন্তু ভারতের ৭টি রাজ্যের চারদিকে ভূমি দিয়ে বেষ্টিতর অর্থ কী?"


বাংলাদেশের সরকারি বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস) অনুসারে, ইউনূস তার চার দিনের সফরে বেইজিংকে নদীর জল ব্যবস্থাপনার জন্য ৫০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা তৈরির দাবী জানান। বাংলাদেশের এই মহাপরিকল্পনা তিস্তা নদীর জল ব্যবস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি একটি নদী যা ভারতেও প্রবাহিত হয়। বক্তৃতায় মোহাম্মদ ইউনূস চীনকে ‘জল ব্যবস্থাপনার মাস্টার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, 'আমরা কীভাবে জল সম্পদকে মানুষের জন্য উপযোগী করে তুলতে পারি তা আপনার কাছ থেকে শিখতে এসেছি।' এর সঙ্গে মোহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, 'বাংলাদেশের সমস্যা শুধু একটি নদী নিয়ে নয়, পুরো ব্যবস্থা নিয়ে।'


এদিকে, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিব্বতের ইয়ারলুং জ্যাংবো-যমুনা নদী নামে পরিচিত ব্রহ্মপুত্র নদীর জন্য জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে এমওইউ বাস্তবায়ন পরিকল্পনা স্বাক্ষরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও চীন ইতিবাচক আলোচনা করেছে। এই নদীর উৎপত্তি চীনে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডের একটি বড় অংশ পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ও বাংলাদেশ সামুদ্রিক সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা এবং এ বিষয়ে আরও আলোচনার বিষয়ে একমত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মংলা বন্দর সুবিধার আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ চীনা কোম্পানিগুলোকে স্বাগত জানায় এবং চট্টগ্রামে চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চল (সিইআইজেড) আরও উন্নয়নে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad