কেন প্রসেনজিতের মাকে ছেড়ে আবার বিয়ে করেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়? - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, March 13, 2025

কেন প্রসেনজিতের মাকে ছেড়ে আবার বিয়ে করেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়?



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৩ মার্চ : একসময় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, স্বর্ণযুগের এই শিল্পী টলিউড থেকে বলিউড দাপিয়ে বেরিয়েছেন। তার সুন্দর চেহারা, অভিনয় দক্ষতার কারণে তিনি ষাট-সত্তরের দশকের সুপারস্টার ছিলেন। এমনকি বলিউডে উত্তম কুমারকে টেক্কা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার এই হিরোর ইমেজে আঁচড় পড়ে তার ব্যক্তিগত জীবনকে কেন্দ্র করে। একসময় স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ও ছোট ছোট দুই ছেলে মেয়ে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী এবং পল্লবী চ্যাটার্জীকে ছেড়ে পাকাপাকিভাবে মুম্বাই চলে যান বিশ্বজিৎ। স্ত্রী এবং সন্তানদের ছেড়ে মুম্বাইতে নতুন সংসার করেন আবার। এই নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি।

স্ত্রী এবং সন্তানদের কলকাতায় ফেলে রেখে বিশ্বজিৎ যখন আবার মুম্বাইতে গিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তার সেই পদক্ষেপ ভালো চোখে নেয়নি টলিউড। রত্নার সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে কোনদিনই মুখ খোলেননি অভিনেতা। কিন্তু ৮৭ বছর বয়সে তিনি তার দিকটা তুলে ধরলেন। এত বছর বিশ্বজিৎকে নিয়ে যে কটাক্ষ করেছে তার জবাব দিলেন অভিনেতা। সংসার ভাঙার কারণ হিসেবে দায়ভার চাপালেন প্রথম স্ত্রীর উপরেই। সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন বিশ্বজিৎ। তাতেই তিনি তুলে ধরলেন তার জীবনের অজানা কষ্টের কথা।


বিশ্বজিৎ তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন অনস্ক্রিন নায়িকাদের সঙ্গে রোমান্স করা নিয়ে তার স্ত্রী নিত্যদিন অশান্তি বাঁধাতেন। অনেক কড়া কথা শোনাতেন। এর জন্য অনেক সময় গোপনে চোখের জলও ফেলতে হয়েছে তাকে। তিনি লেখেন, ‘‘১৯৬০ সালে ‘মায়ামৃগ’ মুক্তির পরপরই রত্নার সঙ্গে আমার সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়… রত্না কিন্তু সব জেনেশুনেই আমাকে বিয়ে করে। ও ভালভাবেই জানত আমি এরকম একটি পেশার সঙ্গে যুক্ত আছি যেখানে নায়িকাদের সঙ্গে অনস্ক্রিন রোম্যান্স করতে হবে… কিন্তু ও এসব মেনে নিতে পারল না’’।



প্রসেনজিৎ-পল্লবীর মাকে নিয়ে তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘ওর জন্য আমাকে যে পরিমাণ মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে, চোখের জল ফেলতে হয়েছে, তা কখনও ভুলব না। ও এমনভাবে আমাকে অপমান করত, আমার উপর চিৎকার করত যে, আমি মেকআপ রুমে একা-একা বসে কাঁদতাম।….রত্না ভীষণ অ্যারোগেন্ট ছিল, আমার কোনও কথা শুনত না। আসলে ওর কিছু কাছের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় ছিল, যারা ওর মাথাটা খেত।’’ আত্মীয় এবং পরিচিতরাই স্ত্রীকে তার বিরুদ্ধে ভড়কাতেন বলে দাবি করেছেন বিশ্বজিৎ। এমনকি রত্না তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন ছেলেমেয়ের সামনে, এমনই অভিযোগ তার।


তিনি আরও অভিযোগ করেছেন রত্না খুবই উগ্র মেজাজের মানুষ ছিলেন।স্বামীর বিরুদ্ধে ছেলে ও মেয়ের মনে বিষ ঢুকিয়েছিলেন তিনি। তার পুরুষ বন্ধুরা বেডরুমে ঢুকে আলমারি খুলে টাকা পয়সা বের করে নিতেন। দিনের পর দিন এসব সহ্য করতে করতে একসময় তার সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। তখন তিনি পাকাপাকিভাবে মুম্বাই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এও বলেছেন, “বুম্বা এখন সবকিছু বুঝতে পারলেও পল্লবীকে আমি কখনো ক্ষমা করব না।”

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad