দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ৩১ মার্চ ২০২৫, ২৩:৪২:০০: ভয়াবহ বিস্ফোরণ পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানার রায়পুরের তৃতীয় ঘেরিতে বাজি বানানোর সময় বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এর মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ আচমকা বিকট শব্দ শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান আগুনের গ্রাসে একটি বাড়ি। হইচই পড়ে যায় এলাকায়। আগুন নেভানোর চেষ্টার মধ্যেই ভেসে আসে আবার কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পৌঁছে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিনও। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। সেই সঙ্গে বাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টাও শুরু হয়। যদিও পুলিশের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে এই অগ্নিকাণ্ডে।
আগুন লাগার কারণ এখনও জানা না গেলেও স্থানীয়দের একাংশের অনুমান, বাড়িতে বাজি মজুত করা হয়েছিল। সেখান থেকে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাসন্তী পুজো উপলক্ষে ওই বাড়িতে বাজি তৈরি করা হচ্ছিল। রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ সেখান থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো বাড়িটি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। আবার অনেকের কথায়, রান্নার সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনা হয়েছে।
তবে পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানার দাবী, ‘‘বাজি তৈরির সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুরো বাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে। ওই বাড়ির ভিতরে আরও কিছু জন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘটনাস্থলে ঢোলাহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।’’
এখনই অবশ্য দুর্ঘটনার কারণ নির্দিষ্ট করে বলছে না পুলিশ। আপাতত আগুন নেভানোর চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ।
উল্লেখ্য, রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ভূপতিনগর, খাদিকূলেও এমন ঘটনা ঘটেছে। এরপরেও কী টনক নড়েনি প্রশাসনের! প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলে।
No comments:
Post a Comment