চুইংগাম নাকি স্লো পয়জন? প্রতিটি কামড়েই থাকে শত শত মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা! - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, March 28, 2025

চুইংগাম নাকি স্লো পয়জন? প্রতিটি কামড়েই থাকে শত শত মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা!


লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩০:০০: আমাদের আশেপাশে অনেকেই দেখা যায় বেশিরভাগ সময় চুইংগাম চিবাতে। আপনিও কি সারাদিন চুইংগাম চিবাচ্ছেন? যদি হ্যাঁ, তবে সাবধান হন, কারণ এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও উপকারী নয়। আজকাল ফ্যাশনের পাশাপাশি চুইংগাম অভ্যাসেও পরিণত হয়েছে। লোকেরা এটিকে সতেজতা, স্বাদ এবং মৌখিক ব্যায়ামের জন্য চিবিয়ে খায়, তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, চুইংগামে লুকিয়ে আছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। এটি আপনার শরীরে শত শত মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা ছেড়ে যেতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে।


চুইংগামে মাইক্রোপ্লাস্টিক

সান দিয়েগোতে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির সভায় একটি গবেষণা উপস্থাপন করা হয়েছিল। এই গবেষণায়, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) এর গবেষকরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চুইংগাম চিবানোর পর লালার নমুনা পরীক্ষা করেন। লিসা লো, ইউসিএলএ-র একজন পিএইচডি ছাত্রী, ১০টি ভিন্ন ব্র্যান্ডের চুইংগামের সাতটি টুকরো চিবিয়েছিলেন এবং তারপরে গবেষকরা তাঁর লালার ওপর একটি রাসায়নিক বিশ্লেষণ পরিচালনা করেছিলেন। সেখানে দেখা গেছে এক গ্রাম চুইংগামে গড়ে ১০০টি মাইক্রোপ্লাস্টিকের টুকরা থাকে।


কিছুতে প্রায় ৬০০টিরও বেশি। গবেষক বলেছেন যে, একটি চুইংগামের গড় ওজন প্রায় ১.৫ গ্রাম। যদি এটি নিয়মিত চিবানো হয় তবে প্রতি বছর ৩০,০০০ মাইক্রোপ্লাস্টিক টুকরা আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।


মাইক্রোপ্লাস্টিক কী এবং কীভাবে এটি চুইংগামে প্রবেশ করে?

মাইক্রোপ্লাস্টিক হল ৫ মিমি থেকে ছোট প্লাস্টিকের অতি-সূক্ষ্ম কণা, যা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। এগুলি চুইংগাম সহ অনেক ধরণের পণ্যে ব্যবহৃত হয়। চুইংগামে প্রধানত গাম বেস, সুইটনার, ফ্লেভারিং এজেন্ট এবং নরম করার এজেন্ট থাকে। গাম বেস যা আঠাকে চিবানোর যোগ্য করে তোলে।


গাম বেসে পলিভিনাইল অ্যাসিটেট এবং পলিথিনের মতো সিন্থেটিক প্লাস্টিক যৌগ থাকে, যা চিবানোর জন্য এটি নমনীয় এবং দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। এই প্লাস্টিক ধীরে ধীরে মাইক্রোপ্লাস্টিক আকারে আপনার শরীরে পৌঁছাতে পারে। এটি শুধু মুখেই থাকে না, এটি লালার মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে, যা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


মাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরের ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে? 


১. মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিপাকতন্ত্রে প্রদাহ এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হতে পারে।


২. এই প্লাস্টিকের কণা শরীরের এন্ডোক্রাইন সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঘটে।


৩. মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা শরীরে টক্সিন বাড়াতে পারে, যা স্থূলতা এবং অন্যান্য বিপাকীয় রোগের কারণ হতে পারে।


৪. কিছু গবেষণা অনুসারে, মাইক্রোপ্লাস্টিক রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করতে পারে এবং মস্তিষ্কের সাথে হার্টের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad