তাইওয়ান নিয়ে চীনের নতুন ফরমান! কী পদক্ষেপ ড্রাগনের? - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, March 27, 2025

তাইওয়ান নিয়ে চীনের নতুন ফরমান! কী পদক্ষেপ ড্রাগনের?


ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০:০০: বেইজিং সম্প্রতি একটি ডিক্রি জারি করেছে যা তাইওয়ানের সমর্থক এবং স্বাধীনতার পক্ষে থাকা লোকেদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে পারে। চীনা সরকার বুধবার একটি নতুন 'তথ্য চ্যানেল' চালু করেছে, জনসাধারণকে জিজ্ঞাসা করেছে যে যদি তাদের কাছে এমন কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য থাকে যারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করছে বা চীনের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা দিচ্ছে, তবে তাঁরা তাঁর নাম বেইজিংকে জানাতে পারে। 


চীনের অভিযোগ, তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) জনগণকে দমন ও নির্যাতন করছে। বুধবার, ২৬ মার্চ, চীনের স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক অফিস এই চ্যানেলটি ঘোষণা করে একটি ডিক্রি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে যে, কিছু তাইওয়ানের নেতা, সরকারি কর্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি 'গুন্ডা'র মতো কাজ করছে এবং ডিপিপিকে এর অপরাধে সহায়তা করছে। 


চীনা প্রশাসন বলছে, তাইওয়ানের কোনও ব্যক্তি যদি এই ধরণের হয়রানির শিকার হন বা তাঁর কাছে এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য থাকে, তাহলে তিনি এই নতুন চ্যানেলের মাধ্যমে রিপোর্ট করতে পারেন। বেইজিং আরও আশ্বাস দিয়েছে যে, যারা অভিযোগ করবে তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এসব অভিযুক্তদের কী ধরণের শাস্তি দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।


এই ডিক্রির পরে, উদ্বেগ বেড়েছে যে, বেইজিং এখন শুধু তাইওয়ানে নয়, বিদেশেও স্বাধীনতা সমর্থকদের ওপর চাপ দেওয়ার চেষ্টা করবে। শুধু তাই নয়, বেইজিং এর আগেও তাইওয়ানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যাঁদের তাঁরা 'বিভাজনমূলক কার্যকলাপের' অভিযোগে নিশানা করেছিল।


চীন বলেছে যে, তাইওয়ান তাদের অংশ এবং তারা যে কোনও পরিস্থিতিতে এটিকে সংযুক্ত করতে চায়, এমনকি যদি তাদের এর জন্য শক্তিও প্রয়োগ করতে হয়। তা সত্ত্বেও, তাইওয়ান নিজেকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বিবেচনা করে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে চীনের নীতির বিরোধিতা করে একে "বিদেশি শত্রু শক্তি" বলে অভিহিত করেছেন।


চীনের এই নতুন পদক্ষেপ তাইওয়ান সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে, কারণ তাইওয়ানের অনেক নাগরিক এবং প্রভাবশালীরা চীনের সমালোচনা করার সময় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেন। এমতাবস্থায় বেইজিংয়ের এই ডিক্রি তাইওয়ানের ভিন্নমত ও বিরোধিতা দমনের একটি নতুন উপায় বলে মনে হচ্ছে।


এটা স্পষ্ট যে, চীনের উদ্দেশ্য শুধু তাইওয়ানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা নয় বরং সারা বিশ্বে যারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার কথা বলে তাঁদেরও ভয় দেখানো। এখন চীনের এই আদেশের বিরুদ্ধে তাইওয়ান এবং অন্যান্য দেশ কী পদক্ষেপ করে এবং এই বিরোধ আরও বাড়বে কিনা তা দেখার বিষয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad