ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪:০০:০০: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার এখানে বৈঠক করেছেন। সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চীনে চার দিনের সফরে থাকা ইউনূস বুধবার হাইনানে পৌঁছে দেশটির 'বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া' বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন। বৃহস্পতিবার তিনি বেইজিং পৌঁছান এবং বিমানবন্দরে চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং তাঁকে স্বাগত জানান।
তিনি বাংলাদেশে চীনা ঋণের সুদের হার তিন শতাংশ থেকে এক-দুই শতাংশে নামিয়ে আনা এবং বাংলাদেশে চীনের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি ফি মকুবের দাবী জানান।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র 'ডেইলি স্টার'-এর খবর অনুযায়ী, জাপান, বিশ্বব্যাংক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পর চীন বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম ঋণদাতা, যেটি ১৯৭৫ সাল থেকে তাদের মোট ৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। ডিংয়ের সাথে বৈঠকে ইউনূস বস্ত্র, ইলেকট্রিক বাহন, হালকা মেশিনারি, হাই প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক চিপ বিনির্মাণ এবং সৌর প্যানেল শিল্প-সহ চীনা বিনির্মাণ শিল্পগুলো তাঁর দেশে স্থানান্তরিত করতে বেইজিংয়ের সাহায্য চেয়েছেন।
ইউনূস, রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সি ওভারচুকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। ওভারচুক বাংলাদেশে অধিক গম ও সার রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, "রাশিয়া বাংলাদেশে অধিক গম ও সার রপ্তানি করতে চায়।" বৈঠকে দুই নেতা রাশিয়ার অর্থায়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন। বাংলাদেশের সরকারি বার্তা সংস্থা 'বিএসএস' চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেছে, "প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আপনার (ইউনূস) সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন।" চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইউনূসকে বলেন, তিনি আশা করেন যে তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি সমৃদ্ধ হবে। ডিংয়ের কথায়, দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেইজিং বাংলাদেশ সরকারকে বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পূর্ণ সমর্থন দেবে।
No comments:
Post a Comment