ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩০ মার্চ ২০২৫, ২০:১৫:০০: তীব্র ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমার ও থাইল্যান্ড। এরই মাঝে ফের ভূমিকম্প। এবারে কেঁপে উঠল দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টোঙ্গা দ্বীপপুঞ্জ। রবিবার (৩০ মার্চ ২০২৫) বিকেল ৫.৪৮ মিনিটে এখানে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.০। জাতীয় ভূমিকম্পতত্ত্ব কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি টোঙ্গার মূল দ্বীপের প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উত্তর-পূর্বে আঘাত হানে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি কেন্দ্র একটি সতর্কতা জারি করে বলেছে যে, বিপজ্জনক ঢেউগুলি উপকূলীয় অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ৩০০ কিলোমিটার (১৮৫ মাইল)-এর মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে কোনও ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
টোঙ্গা একটি পলিনেশিয়ান দেশ, যা ১৭১টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এবং এর জনসংখ্যা মাত্র ১০০,০০০- এরও বেশি। এঁদের অধিকাংশই প্রধান দ্বীপ টঙ্গাটাপুতে বাস করে। এটি অস্ট্রেলিয়ার উপকূল থেকে ৩,৫০০ কিলোমিটার (২০০০ মাইল) পূর্বে অবস্থিত। টোঙ্গা দ্বীপটি লেগুন এবং চুনাপাথরের শিলা দ্বারা বেষ্টিত।
শুক্রবার (৩০ মার্চ ২০২৫) মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডে ৭.৭ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার ফলে বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে, মিয়ানমারের লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। বর্তমানে মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১৭০০ ছাড়িয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসস্তূপ সরানো হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর সেখানকার সামরিক সরকার রাজধানী নাইপিতাও ও মান্দালেসহ ছয়টি অঞ্চল ও রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। মায়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্যের জন্য ভারত সরকার পাঁচটি সামরিক বিমানে ত্রাণসামগ্রী, উদ্ধারকারী দল এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভারত তার ত্রাণ অভিযান শুরু করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ব্রহ্মা।
No comments:
Post a Comment