লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩০:০০: হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা দ্রুত বাড়ছে এবং বিপুল সংখ্যক যুব এর শিকার হচ্ছেন। কোলেস্টেরল থেকে পরিত্রাণ পেতে, একজন ব্যক্তির খাদ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন আপেল খাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আপেলে রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক উপাদান, যা কোলেস্টেরল কমায় এবং হার্ট হেলথ বুস্ট করে। আপেল শুধু কোলেস্টেরল নয়, অনেক সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে কার্যকর বলে মনে করা হয়। এটি খাওয়া শরীরের আশ্চর্যজনক উপকার করতে পারে।
ইউএস-এর ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের (এনসিবিআই) প্রতিবেদন অনুযায়ী, আপেলে পেকটিন নামে এক ধরণের দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। এই দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। আপেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং পটাসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান, যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তবে, আপেল একাই কোলেস্টেরল পুরোপুরি কমাতে পারে না,এর জন্য ভালো খাদ্যাভ্যাস, সঠিক ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারাও প্রয়োজন। যদি কারও হাই কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে, তাহলে তাঁর উচিৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া।
আপেল খাওয়ার এই উপকারিতা আপনাকে চমকে দেবে-
- আপেলে কম ক্যালরি এবং উচ্চ ফাইবার উপাদান রয়েছে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এটি ক্ষিদে কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার সম্ভাবনা কমায়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- আপেলে ফাইবার পাওয়া যায়, যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং অন্ত্র পরিষ্কার করতে কার্যকর। আপেল খাওয়া মেটাবলিজমের উন্নতিতেও সাহায্য করে।
- আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এগুলো শরীরকে সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। আপেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আপনার ত্বককে সুস্থ ও তরুণ রাখতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও আপেল খাওয়া উপকারী। আপেল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। আপেলে উপস্থিত ফাইবার রক্তে শর্করার শোষণকে ধীর করে দেয়, যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
No comments:
Post a Comment