ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১২:১০:০০: আট দিনের নবজাতক কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন বাবার। পৈশাচিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ৩৭ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যক্তি হুগো ফেরেইরা তার নবজাতক কন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের কথা স্বীকার করেছেন। ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি ২০২৩ সালের জুনে তার বাড়িতে নবজাতক কন্যাকে যৌন নির্যাতন করেন এবং তারপরে তার মাথা টেবিলে ঠুকে দেয়, আছাড় মারে। যার ফলে মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হুগো ফেরেরা যখন তার মেয়ের প্রাণ নিয়েছিলেন, তখন তার মা ঘর থেকে বাইরের বেরিয়েছিলেন। পরে মেয়ের মাকেও প্রাণে মারার হুমকি দেন বলে জানান তিনি।
ফেরেরা ইচ্ছাকৃতভাবে আগে থেকেই আহত শিশুটির আরও ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। শিশুটির অবস্থা যে গুরুতর তা পুরোপুরি অবগত থাকা সত্ত্বেও সে শুধু খারাপ কাজটিই করেনি, শিশুটির মায়ের কাছ থেকে তার আঘাত লুকানোর চেষ্টাও করেছিল। এই অমানবিক কাজের সময় হুগো ফেরেইরা শিশুটিকে শুধু যৌন নির্যাতনই করেননি, মৃত্যুর ঝুঁকিও উপেক্ষা করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে তিনি মেথামফেটামিন ব্যবহার করেছিলেন, কিন্তু তার নেশা সত্ত্বেও, সে তার কাজগুলি স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন এবং পরে জেলে যাওয়ার কথা বলেন।
নিজের নিষ্ঠুরতার কাহিনী বর্ণনা করেছেন তিনি নিজেই। ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি মেয়েটিকে চুপ করাতে চেয়েছিলেন।কিন্তু সে চুপ হচ্ছিল না, তাই তিনি প্রচণ্ড রেগে যান। অভিযুক্ত বলেন, "আমি শিশুটিকে তার ঘাড়ের পেছন দিয়ে শক্ত করে ধরে বারবার আঘাত করি। আমি যে টেবিলে কাজ করছিলাম সেটায় তার মাথার ঠুকে দিয়েছিলাম। আমি মানছি এত ছোট্ট মেয়ের সাথে এমন করা উচিৎ হয়নি।"
মেয়েটিকে যৌন নির্যাতনও করেন ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, মেয়েটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ক্রমাগত এ কাজ করতে থাকে সে। একই সময়ে তার মা ফিরে এলে সে তার ক্ষত লুকানোর চেষ্টা করে। তবে মহিলা মেয়েটিকে রক্তে ভিজে থাকতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যান। শারীরিক আঘাতের কারণে হাসপাতালে ছোট্ট মেয়েটির মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, শিশুদের প্রতি সহিংসতা, অপব্যবহার এবং শোষণ পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় শৈশবের একটি দুঃখজনক দিক। সমীক্ষাগুলি দেখায় যে বেশিরভাগ শিশু বাড়ি থেকে স্কুল পর্যন্ত হিংসাত্মক শৃঙ্খলা মনোভাবের সম্মুখীন হয়। ইউনিসেফের মতে, প্রায় তিনজন কিশোরীর মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সের মধ্যে মারধর বা খুনের শিকার হয়েছে এবং ১০ জনের একজন ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
বাল্যবিবাহ শিশুদের অধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন। এই এলাকার ২০-২৪ বছর বয়সীর ১০-এর মধ্যে চারজন মেয়ের বিয়ে তাঁদের ১৮তম জন্মদিনের আগে হয়েছিল। এই অঞ্চলে বিশ্বে কিশোরী গর্ভধারণের হার সবচেয়ে বেশি।
No comments:
Post a Comment