ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:০০:০০: গাজায় ইজরায়েল ফের হামলা শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ইজরায়েলি বাহিনী গাজার নাসের হাসপাতালে হামলা করে, যাতে হামাস নেতা ইসমাইল বারহুমসহ অন্তত দুইজন নিহত হয়। ইজরায়েলি বাহিনী গাজার আল-মাওয়াসিতে একটি তাঁবুতে বোমা হামলা করে এবং হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর আরেক সদস্য সালাহ আল-বারদাউইলকে মারার কয়েক ঘন্টা পর ইসমাইলের হত্যাকাণ্ড ঘটে। গাজার নাসের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জেট বিমান দিয়ে হামলা চালায় ইজরাইল। এতে সেখানে চিকিৎসাধীন হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর কর্তা ইসমাইল বারহুম মারা যান।
এদিকে নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে যে, গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধের শুরু থেকে, কমপক্ষে ৫০,০২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,১৩,২৭৪ জন আহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০- এরও বেশি বলে জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নীচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানুয়ারিতে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির সময়, অনেক ফিলিস্তিনি যুদ্ধের কারণে কয়েক মাস বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর তাদের বাড়িতে ফিরে আসে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রবিবার বলেছে যে, তারা দক্ষিণ গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপকভাবে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে, কেননা তাঁরা রাফাহ শহরের একটি অংশে আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে।
গত সপ্তাহে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে, তারা নেটজারিম করিডোরের কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করেছে। উল্লেখ্য, নেটজারিম করিডোর দক্ষিণ এবং উত্তর গাজাকে পৃথক করেছে। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির শুরুতে এই করিডোর থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। সেখানে উপস্থিত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখন বাড়ি ফেরার কয়েক সপ্তাহ পর ব্যাপকভাবে উচ্ছেদের আদেশের মুখোমুখি হচ্ছেন।
ইউনিসেফের মুখপাত্র রোজালিয়া বোলান বলেছেন, রাফাহ এবং বেইট হানুন সহ গাজায় ইজরায়েলের নতুন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি আদেশ সেখানকার পরিবারগুলির "গভীর দুর্ভোগ" বাড়িয়ে তুলছে। ইজরায়েলে, হাজার হাজার ইজরায়েলি পশ্চিম জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের দিকে মিছিল করে এবং তাঁকে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ফিরে আসার দাবী জানায়।
No comments:
Post a Comment