ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ মার্চ ২০২৫, ১৫:৫০:০৯: স্ত্রী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর আইটি ইঞ্জিনিয়ারের। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক হেনস্থার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন ওই যুবক। ঘটনা বেঙ্গালুরুর। ওই যুবক অভিযোগে দাবী করেছেন, বিয়ের তিন বছর পরেও তাঁর স্ত্রী তাঁর সাথে ভালোভাবে বসবাস করছেন না এবং শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রতিদিন ৫০০০ টাকা দাবী করেন। এ ব্যাপারে পুলিশ একটি রিপোর্ট নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে।
সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিজের অভিযোগে বলেছেন যে, ১৪ আগস্ট ২০২২ তারিখে লিঙ্গায়ত ম্যাট্রিমণির মাধ্যমে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই স্ত্রী ও তার মা টাকা দাবী করতে থাকেন। বিয়ের আগে, স্ত্রীর মা অ্যাকাউন্টে তিনি ৩ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন এবং ৫০,০০০ টাকা নগদও নিয়েছিলেন; দাবী করেছিলেন যে এটি বিয়ের ব্যয়ের জন্য ছিল। বিয়ের পরও দাবী ও হয়রানি চলতে থাকে।
অভিযোগকারীর অভিযোগ, বিয়ের পর স্ত্রী তাঁর সঙ্গে স্বাভাবিক বৈবাহিক জীবনযাপন করেননি। তিনি যখনই শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করেন, তখনই তাঁর স্ত্রী তাঁকে আত্মহত্যার হুমকি দেন এবং একটি ডেথ নোট রেখে ব্ল্যাকমেইল করেন। স্বামী আরও দাবী করেছেন যে, স্ত্রী তাঁর গোপনাঙ্গে আঘাত করে তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছিলেন।
নির্যাতিত স্বামীর মতে, স্ত্রী এবং তার পরিবার বাড়ি কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা দাবী করে এবং প্রতি মাসে ৭৫ হাজার টাকার ইএমআই দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তিনি দিতে অস্বীকার করলে স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক করতে না করেন এবং দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি সম্পর্ক করবেন না বলে জানান। এমনকি তিনি স্বামীকে ৬০ বছর বয়সের পরে সন্তান নেওয়ার কথা বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। স্বামী ডিভোর্সের কথা বললে স্ত্রী বোঝাপড়া হিসেবে ৪৫ লাখ টাকা দাবী করেন।
একটি কোম্পানিতে সফটওয়্যার প্রফেশনাল বলেছেন যে, তাঁর স্ত্রীর হয়রানির কারণে তিনি তারঁ চাকরি হারিয়েছেন। বাড়ি থেকে কাজের সময়, তার স্ত্রী তাঁর অনলাইন মিটিংয়ে হস্তক্ষেপ করতেন, তর্ক করতেন এবং নাচ-গানের মাধ্যমে তাকে বাধা দিতেন। স্বামী তার স্ত্রীর এসব কর্মকাণ্ড মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেছেন, যা সে প্রমাণ হিসেবে পেশ করেছেন।
স্ত্রীর পাল্টা অভিযোগ
অন্যদিকে স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে মারধর, যৌতুকের জন্য হয়রানি ও কাজের মেয়ের মতো আচরণের অভিযোগ আনেন। তিনি দাবী করেন যে, তাঁর স্বামীর পরিবার তাকে হয়রানি করে এবং তাঁর শাশুড়ি বেডরুমে ক্যামেরা বসানোর পরামর্শ দেন।
স্ত্রী আরও বলেন, তাকে ভালো খাবারও দেওয়া হয়নি এবং স্বামী বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কেনেননি। তিনি বলেন, "এমন পরিবেশে আমি কীভাবে সন্তান ধারণ করব? আমিও একটি ভালো জীবনের আশা করেছিলাম।"
স্বামীর অভিযোগের পর স্ত্রীকে তাঁর বক্তব্যের জন্য ডেকে নেয় পুলিশ। বিবৃতিতে স্ত্রী বৈবাহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। পুলিশ এই ঘটনায় এনসিআর নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। এখন ডিভোর্স না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী ও শাশুড়ির থেকে রক্ষা করতে পুলিশকে অনুরোধ করেছেন স্বামী।
No comments:
Post a Comment