ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৫:০০: মহিলাকে একাধিকবার ধর্ষণ। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল করে দেয় অভিযুক্ত। এমনকি অভিযুক্ত তাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ক্রমাগত এই জঘন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলায় নক্ক্যারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং তাকে গ্রেফতার করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীক্ষা ভানভারে জানিয়েছেন, অভিযুক্তের নাম সুখদেব। তাকে গ্রেফতার করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত এফআইআর অনুসারে, অভিযুক্ত একই এলাকায় বসবাসকারী এক মহিলার (৩৫) বাড়িতে প্রবেশ করে, যখন তাঁর স্বামী কাজের জন্য বাইরে যেতেন। এরপর তিনি নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করতেন। প্রতিবাদ করলে তাকে বেআইনি অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলারও হুমকি দেন।
পুলিশ আধিকারিক বলেন, নির্যাতিতা লোকলজ্জার ভয়ে চুপ ছিলেন। এর সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত তাকে নিজের লালসার শিকার করতে থাকে। এ সময় তাকে নিয়ে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করা হয়। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকিও দেন তিনি। এমনকি একদিন সেই ভিডিও পোস্টও করে দেয় সমাজমাধ্যমে। এরপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে, শাহজাহানপুর জেলায় ১৬ বছরের এক কিশোরীকে তার প্রতিবেশী ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতা তার গ্রামে বসবাসকারী তার কাকার কাছে খাবার দিতে গিয়েছিল। এ সময় অভিযুক্ত তাঁকে জোর করে বাড়িতে নিয়ে যায়। তাঁকে নিজের লালসার শিকার বানায়। তৎকালীন সার্কেল অফিসার নিষ্ঠ উপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ঘটনাটি ঘটেছে জেলার পুওয়ায়া থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত নভেম্বরে শাহজাহানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনাটি ২০ বছর বয়সী এক ভ্যান চালক ঘটিয়েছিল বলে অভিযোগ, যিনি পড়ুয়াকে স্কুলে নিয়ে যেতেন এবং আসতেন। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা হয়। শাহজাহানপুরের কাঁট থানা এলাকার একটি স্কুলে পড়ত ওই ছাত্রী। ভ্যানচালক তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment