প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে গিয়ে আত্মহত্যা যুবকের, ব্ল্যাকমেলের নালিশ - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, March 6, 2025

প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে গিয়ে আত্মহত্যা যুবকের, ব্ল্যাকমেলের নালিশ

Screenshot_20250306_121555_Chrome

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ মার্চ: প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে আত্মঘাতী যুবক। যুবকের নাম আলতাফ, বয়স ৩০ বছর। উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার বাসিন্দা হলেও গত ১৫ বছর ধরে মহারাষ্ট্রের থানেতে থাকতেন এবং দর্জির কাজ করতেন ওই যুবক। ২২ ফেব্রুয়ারি প্রেমিকার সঙ্গে বিবাদের জেরে বিষ পান করেন তিনি। এরপর তাঁর হাতের কব্জিও কেটে দেন। মৃতের পরিবারের সদস্যরা তার বান্ধবীর বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।


এসএইচও অনুরাগ সিং বলেছেন, মৃত্যুর আগে আলতাফ তাঁর এই কাজের একটি ভিডিওও করেছিলেন। তাঁর প্রেমিকাকে এই ভিডিওটি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রেমিকা একথা কাউকে জানাননি। কয়েকদিন পরে, ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করলে, আলতাফের বোন রেশমা গঙ্গাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, উন্নাওয়ের এক মহিলা তার ভাইকে ব্ল্যাকমেল করছেন এবং তার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা তোলাবাজি করছিলেন।


এসএইচও আরও জানান, ২৩ ফেব্রুয়ারি মৃত আলতাফের দেহ তাঁর ভাড়া ঘরে পাওয়া যায়। তার প্রতিবেশীরা পুলিশে যোগাযোগ করে তাঁর মৃত্যুর খবর জানায়। পরে পুলিশ খবর দেয় তাঁর পরিবারকে। উত্তরপ্রদেশ থেকে থানে পৌঁছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা সেখানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। গঙ্গাঘাট পুলিশ বলছে যে, এই ঘটনাটি ঘটেছে থানেতে, তাই আরও তদন্তের জন্য স্থানীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।


অপরদিকে, অন্য একটি ঘটনায়, থানে জেলায় একটি যুবতীর আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করার জন্য একজন ব্যক্তি এবং তার দুই ভাই ও বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বারবার প্রতিশ্রুতি ও প্রেমিকের মানসিক হয়রানির শিকার হয়ে ৩৫ বছর বয়সী অবিবাহিত যুবতী আত্মহত্যা করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। কল্যাণ তালুকা থানার পরিদর্শক সুরেশ কদম জানিয়েছেন, নির্যাতিতা ওই জেলার টিটওয়ালার মারালের বাসিন্দা। 


গত ১৫ বছর ধরে উলহাসনগরে বসবাসকারী এক যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিযুক্ত যুবক প্রায়ই নির্যাতিতার বাড়িতে যেতেন। তিনি তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে প্রতিবারই কোনও না কোনও অজুহাত দেখিয়ে বিয়ে থেকে সরে আসেন তিনি। এ কারণে প্রতিদিনই দুজনের মধ্যে ঝগড়া হতো। অভিযুক্তের ভাই ও বোন বারবার নির্যাতিতাকে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে রাজি করান। তারা তাঁকে অন্য কোথাও বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। 


পাঁচ বছর আগে ওই যুবক তাঁর পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করা সত্ত্বেও নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক চলতে থাকে। বারবার তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিতে থাকে। এদিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম ও অভিযুক্তের মধ্যে মারামারি হয়। এ নিয়ে ঝগড়ার পর নির্যাতিতা নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যা করার আগে, তিনি তার মোবাইল ফোনে একটি ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন, যাতে তিনি অভিযুক্ত এবং তার পরিবারকে দায়ী করেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad