ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ মার্চ ২০২৫, ২১:০৬:০৬: ১১ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ, অভিযুক্ত দুই নাবালক। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার নবরংপুর জেলায়। নির্যাতিতাকে ওই দুই নাবালক প্রথমে মদ পান করতে বাধ্য করে এবং তারপর তাঁকে লালসার শিকার বানায়। হোলির দিনে এই ঘটনা ঘটলেও পরের দিনই বিষয়টি প্রকাশ করেন নির্যাতিতা। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা ও তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আদালত তাঁদের হোমে পাঠিয়েছে।
পুলিশ সুপার মিহির কুমার পান্ডা জানান, গত ১৫ মার্চ (শনিবার) ঘটে, যখন ওই কিশোরী উমরকোট থানা এলাকায় বাড়ির কাছে হোলি খেলছিল। অভিযোগ, স্থানীয় ছেলেরা নির্যাতিতাকে ধর্ষণের আগে মদ পান করতে বাধ্য করে। পরদিন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কিশোরীর বাবা-মা উমরকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত ছেলেদের বয়স ১৫ ও ১৭ বছর। ঘটনার পর তারা দুজনেই পলাতক ছিল।
এসপি বলেছেন যে, ঘটনার সময় নির্যাতিতা এবং ছেলেরা মদের নেশায় ছিলেন। নির্যাতিতা স্থানীয় একটি স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্তরা তার দূরের আত্মীয়। মেয়েটি নাবালিকা। স্কুলের রেজিস্টার থেকে তাঁর বয়স নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত দুজনকেই ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক সোফিয়া ফিরদৌস এই প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, রাজ্যে মহিলাদের যৌন হয়রানি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি সদনের বাইরে বলেন, "নবরংপুরে একটি মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। আমরা রাজ্যে নারী ও মেয়েদের যৌন হয়রানির তদন্তের জন্য একটি হাউস কমিটি গঠনের দাবী জানাচ্ছি। রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিবাদে কংগ্রেস ২৭ মার্চ বিধানসভায় ঘেরাও করবে।" কংগ্রেস বিধায়ক দলের নেতা রামচন্দ্র কদমও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি এ ধরণের ঘটনার জন্য রাজ্যের বিজেপি সরকারকে দায়ী করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ওড়িশার কোরাপুট জেলার লক্ষ্মীপুরে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। চার যুবক মিলে এ কাজটি করে। ওই নাবালিকা রাতে ওদিয়াপেন্তা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিরিগুদা গ্রামে স্টেজ প্রোগ্রাম দেখতে গিয়েছিল। এ সময় ওই যুবকরা জঘন্য এই কাজ করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
এ ঘটনায় চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান লক্ষ্মীপুর থানার আইসি সুগনি সাহু। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১৩৭ (২), ১১৫ (২), ৭০ (২) এবং পকসো অ্যাক্ট ৬-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রথমে তারা এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও পুলিশ কঠোরতা দেখালে অপরাধের কথা স্বীকার করে।
No comments:
Post a Comment