প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩০ মার্চ ২০২৫, ০৯:০০:০১ : ভূমিকম্পের কারণে ব্যাংকক থেকে মায়ানমার পর্যন্ত বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। উঁচু ভবন এবং উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবস্থা সবই আত্মসমর্পণ করেছে, কিন্তু বিপদ এখনও শেষ হয়নি কারণ মায়ানমারের ভূমি ২৪ ঘন্টায় ১৫ বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে।
২৪ ঘন্টায় ১৫টি কম্পন, ১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এটি এখন পর্যন্ত মায়ানমারের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি কারণ প্রতি সেকেন্ড ঘন্টায় পৃথিবী কাঁপতে শুরু করে। ভূমিকম্পের পর থেকে মায়ানমারে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত রয়েছে। এই কারণেই খুব বেশি ছবি বের হচ্ছে না। অনেক ভবন এবং সেতু ধসে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আভা সেতু, যা একসময় মায়ানমারের গর্ব ছিল, কিন্তু ভূমিকম্পের বিস্ফোরক কম্পনের কারণে এটি মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়ে। এই সেতুটি ১৯৩৪ সালে নির্মিত হয়েছিল।
স্থানীয় জনগণের কাছে এটি কেবল একটি স্থাপনা ছিল না বরং ইতিহাসের একটি অংশ ছিল। ভূমিকম্পে মায়ানমারের প্যাগোডা মন্দিরটিও ধসে পড়ে। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত এই মন্দিরটি অত্যন্ত সুন্দর ছিল এবং সারা বছরই এখানে ভক্তদের ভিড় জমে, কিন্তু এখন মন্দিরের চারপাশে ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই নেই।
মায়ানমার ইতিমধ্যেই গৃহযুদ্ধে জ্বলছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভূমিকম্পের প্রভাব ক্ষতের উপর লবণের মতো। তবে, এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভারত মায়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারত মায়ানমারের জনগণকে ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের জন্য অপারেশন ব্রহ্মা শুরু করেছে। এর আওতায় বিমান বাহিনীর বিমানে করে ইয়াঙ্গুনে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
ভারত এই ধরণের বিশেষ অভিযান শুরু করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। সময়ে সময়ে, ভারত সরকার সংকটের সময়ে অন্যান্য দেশগুলিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষ প্রচারণা চালিয়ে আসছে এবং এবার তারা মায়ানমারকে সাহায্য করছে। বর্তমানে মায়ানমারে জরুরি অবস্থা চলছে। পরিস্থিতির উন্নতি কবে হবে তা বলা যাচ্ছে না, কারণ ভূমিকম্পটি মায়ানমারে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক বোমার সমতুল্য শক্তি উৎপন্ন করেছে, যার কারণে আগামী দিনে শক্তিশালী কম্পন হতে পারে।
No comments:
Post a Comment