প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৫:০১ : সোমবার নাগপুরে সংঘটিত সহিংসতার আগে এবং পরে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক পোস্ট পোস্ট করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে নাগপুর পুলিশের সাইবার সেল। এরকম অনেক অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার পর্যন্ত ৬টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল কিন্তু এখন তাদের সংখ্যা বেড়ে ১০টিতে দাঁড়িয়েছে। আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট করা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে সর্বশেষ ৪টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নাগপুর পুলিশের সাইবার সেল বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টও শনাক্ত করেছে, যেটি নাগপুরে বড় আকারের সহিংসতা উস্কে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
এই বিপজ্জনক পোস্টটি একজন বাংলাদেশী ব্যবহারকারী করেছেন, যেখানে তিনি লিখেছেন যে সোমবারের সহিংসতা কেবল একটি ছোট ঘটনা এবং ভবিষ্যতে আরও বড় সহিংসতা হবে। তদন্তে জানা যায় যে, এই অ্যাকাউন্টটি পরিচালনাকারী ব্যক্তি বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে এই বার্তাটি পোস্ট করেছিলেন। সাইবার সেল ফেসবুককে এই অ্যাকাউন্টটি ব্লক করার অনুরোধ করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া কেবল ঘৃণা ছড়ানোর জন্যই ব্যবহৃত হচ্ছে না, এর মাধ্যমে গুজবও ছড়ানো হচ্ছে। গত দুই দিনে বেশ কয়েকটি পোস্টে দাবী করা হয়েছে যে সহিংসতায় আহত দুই ব্যক্তি হাসপাতালে মারা গেছেন। তবে, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল।
সাইবার সেল এখন পর্যন্ত ৯৭টি পোস্ট শনাক্ত করেছে যা মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছিল। সাইবার সেল জনসাধারণের কাছে আবেদন করেছে যে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও যাচাই না করা তথ্য বিশ্বাস না করে এবং গুজব ছড়ানো এড়িয়ে চলুন।
নাগপুর শহর পুলিশ সহিংসতার সাথে জড়িতদের সনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের জন্য ১৮টি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করেছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ ২০০ জনকে শনাক্ত করেছে এবং আরও ১,০০০ সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
সহিংসতার সময় সিসিটিভি ফুটেজে এই সন্দেহভাজনদের বন্দী করা হয়েছিল। এই ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে, বিশেষ পুলিশের দলগুলি শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাগপুরের সহিংসতার পর দুই দিন কারফিউ জারি রয়েছে। বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পর্যালোচনার পর কারফিউ শিথিল করা হতে পারে।
ঔরঙ্গজেবের প্রতিমূর্তি ঢাকা সবুজ চাদরে কী লেখা ছিল তা বোঝার জন্য মৌলানা এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ এবং ধর্মীয় নেতাদেরও একই রকম একটি শীট দেখানো হয়েছিল। জানা গেছে যে, ওই পাতায় কোনও ধর্মীয় শব্দ বা বিবৃতি লেখা ছিল না।
No comments:
Post a Comment