আইফোন কিনে দেয়নি বাবা-মা! ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ মেয়ের - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, March 25, 2025

আইফোন কিনে দেয়নি বাবা-মা! ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ মেয়ের


ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০:০০: আইফোন না পেয়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, ব্লেড দিয়ে নিজের হাতে একাধিক আঘাত যুবতীর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুঙ্গেরের জামালপুরে। এখানকার মোহনপুর খালাসি এলাকার বাসিন্দা শম্ভু বিন্দের মেয়ে খুশবু কুমারী গত তিন মাস ধরে তার বাবা-মায়ের কাছে দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের একটি আইফোন দাবী করে আসছিলেন। বেশ কয়েকবার বোঝানোর পরও বাবা-মায়ের সমস্যা বুঝতে পারছিলেন না খুশবু।


এরই মাঝে সোমবার দুপুরে খুশবু তার মায়ের কাছে ফোন কিনে দেওয়ার জন্য জেদাজেদি শুরু করেন। মা রাজি না হলে নিজেকে ঘরে তালাবদ্ধ করে ব্লেড দিয়ে বাম হাত কাটতে শুরু করেন তিনি। একবার বা দু'বার নয়, ব্লেড দিয়ে শতাধিকবার হাত কেটেছেন যুবতী।


এরপর মা তাঁর মেয়ের কাটা হাত দেখতে পেয়ে দ্রুত তাকে জামালপুরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য যুবতীকে সদর হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।


আহত খুশবু জানান, তিনি তিন মাস ধরে একটি আইফোন চাইছিলেন কিন্তু তার বাবা-মা বলেন, 'আমাদের কাছে এত টাকা নেই।' খুশবু বলেন, 'আমি পালিয়ে গিয়ে ছয় মাস আগে বারিয়ারপুর থানার বস্তি গ্রামের বাসিন্দা সত্যমকে বিয়ে করি। সত্যম বর্তমানে পড়াশোনা করছে যার কারণে সে আমাকে ফোন কিনে দিতে পারেননি। তাঁর সাথে কথা বলতে আমার অসুবিধা হচ্ছিল, তাই আমি অ্যাপেল কোম্পানির দেড় লক্ষ টাকার ফোন চাইছিলাম। তিনমাস একটানা চাওয়ার পরও যখন ফোন পেলাম না, তখন আজ হাত কেটে ফেলি। পরবর্তীতে আর এমন করব না।'


খুশবুর মা সুশীলা দেবী বলেন, 'আমরা গরীব মানুষ, এত দামি মোবাইল দেব কী করে! আমার স্বামী শ্রমিকের কাজ করেন। কিছু দিন কাজ পাই আবার কিছু দিন পাই না। তাঁর মজুরি থেকে যে টাকা পাই তাই আমার ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের একমাত্র উপায়। এমতাবস্থায় যখন আমার কাছে কিছুই নেই, তখন দেড় লক্ষ টাকার মোবাইল ফোন পাব কী করে! আমার মেয়ে বারবার আমার কাছে মোবাইল ফোনের জন্য জেদাজেদি করছিল। যখন দিতে পারিনি, আজ কেটে ফেলে।


মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি খুশবুর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকদের কথায়, 'ক্ষত গভীর না হলেও ব্লেড দিয়ে তার হাত পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়েছে। এই ক্ষতগুলো যাতে পরবর্তীতে আলসারে পরিণত না হয় সেজন্য আমরা চিকিৎসা করছি।'

 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad