ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২২:০৩:০০: আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যান তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটি বিশেষ কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সাক্ষাৎকারে অনেক বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর মধ্যে গোধরা কাণ্ড থেকে শুরু করে শৈশবের গল্প এবং পাকিস্তান ও চীনের সাথে সম্পর্ক সবই অন্তর্ভুক্ত।
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ২০২০ সালে সীমান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। জানান, কীভাবে ওই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে উদ্বেগ-উত্তেজনা বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে আমাদের কখনও সংগ্রামের ইতিহাস ছিল না। যতদূর পার্থক্য, উভয়ই প্রতিবেশী দেশ এবং উভয়ের মধ্যেই কিছু না কিছু ঘটতে থাকে। এটি শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ যে পার্থক্যগুলি কখনই বিবাদে পরিণত হয় না।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "ভারত ও চীনের সম্পর্ক আজকের নয়, উভয়ই প্রাচীন সংস্কৃতি এবং আধুনিক বিশ্বেও তাদের ভূমিকা রয়েছে। শতাব্দী ধরে ভারত ও চীন একে অপরের কাছ থেকে শিখেছে এবং উভয়েই বিশ্বের উন্নতির জন্য একসাথে কাজ করে চলেছে। আমরা যদি পুরানো রেকর্ড দেখি, তাহলে বিশ্বের জিডিপির ৫০ শতাংশ একা ভারত ও চীনের মধ্যে ছিল। আমি বিশ্বাস করি যে, পুরাতন কালে আমাদের অনেক সশক্ত সম্পর্ক ছিল। আগে আমাদের সংঘর্ষের ইতিহাস ছিল না। সবসময় একে অপরকে জানারই ছিল আর ভগবান বুদ্ধের প্রভাবও
চীনে কোনও একটা সময় অনেক ছিল, সেটাও এখান থেকেই গিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের উচিৎ ভবিষ্যতেও এই সম্পর্কগুলো মজবুত রাখা। যতদূর পার্থক্য, উভয়ই প্রতিবেশী দেশ। কিছু না কিছু ঘটতে থাকে, এটি যে কোনও পরিবারেও ঘটে। আমরা চাই আমাদের মতপার্থক্য যেন বিবাদে পরিণত না হয়। আমরা শুধু সংলাপের ওপর জোর দিচ্ছি। এভাবে এটা উভয় দেশের জন্যই ভালো।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “এটা শিক্ষা যে, আমাদের সীমান্ত বিরোধ চলতে থাকে। ২০২০ সালে সীমান্তে যে ঘটনা ঘটেছিল তাতে আমাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। আমি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করেছি। এখন সীমান্তে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। ২০২০ সালের আগে কন্ডিশনে ফিরে এসেছে এবং কাজ করছেন। উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং পুরানো সময় ফিরে আসবে...এতে সময় লাগবে। আমাদের একসঙ্গে থাকা শুধু আমাদের জন্যই নয়, বিশ্বের জন্যও ভালো কিন্তু সংঘর্ষ হওয়া উচিৎ নয়।”
No comments:
Post a Comment